‘এইটুকু পথ তো হেঁটেই যাওয়া যায়’

টুঙ্গিপাড়ায় নিজের পৈত্রিক নিবাস থেকে উপজেলা কমপ্লেক্স চত্বরে রাখা হেলিকপ্টার পর্যন্ত রাস্তা হেঁটে যান প্রধানমন্ত্রীচতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর বুধবার নিজের পৈত্রিক নিবাস টুঙ্গিপাড়ায় যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নতুন দায়িত্ব পালনের শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ছিল তার এই সফর। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নিজের পৈত্রিক নিবাস থেকে উপজেলা কমপ্লেক্স চত্বরে রাখা হেলিকপ্টার পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা পায়ে হেঁটেই পাড়ি দেন প্রধানমন্ত্রী। তার ছোট বোন শেখ রেহানাও এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।টুঙ্গিপাড়ায় নিজের পৈত্রিক নিবাস থেকে উপজেলা কমপ্লেক্স চত্বরে রাখা হেলিকপ্টার পর্যন্ত রাস্তা হেঁটে যান প্রধানমন্ত্রী

ঢাকায় ফেরার জন্য বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স থেকে বের হয়েই সঙ্গে থাকা সরকারি কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তায় নিয়েজিতদের উদ্দেশ প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘এখানে গাড়ির কোনও প্রয়োজন নেই। এইটুকু পথতো হেঁটেই যাওয়া যায়।’ শেখ রেহানাকে নিয়ে ততক্ষণে হাঁটা ধরেছেন তিনি। বিস্ময়ের ঘোর কাটিয়ে সবাই তাদের পিছু নেন।টুঙ্গিপাড়ায় নিজের পৈত্রিক নিবাস থেকে উপজেলা কমপ্লেক্স চত্বরে রাখা হেলিকপ্টার পর্যন্ত রাস্তা হেঁটে যান প্রধানমন্ত্রী

জাতির জনকের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে নবগঠিত মন্ত্রিসভার সদস্য এবং সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে টুঙ্গিপাড়া গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। জাতির জনকের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ছাড়াও, ফাতেহা পাঠ করে বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন এবং ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধির পাশে বসে কোরআন তেলাওয়াত করেন।বাসে করে টুঙ্গিপাড়া সফর করেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা

নবগঠিত মন্ত্রিসভার সদস্যরা, যারা এদিন জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসেন তারাও এসেছিলেন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, বাসে চড়ে।

এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় এসে নাতি-পুতিদের নিয়ে রিকশা ভ্যানেও চড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্র: বাসস।

ছবি: ফোকাস বাংলা।