পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমাদের কিছু প্রকল্প আছে যেগুলো ২০১৬ সালের আগে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু এগুলো ওবিওআর-এর অধীনে বাস্তবায়ন হবে।’
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরকালে কর্ণফুলি টানেল প্রকল্প চূড়ান্ত করেন। এখন এটি ওবিওআর কানেক্টিভিটি প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত হবে।
একইভাবে শুধু চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য চট্টগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল আগে থেকে ঠিক করা হলেও এখানে উৎপাদিত পণ্য কর্ণফুলি টানেল দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর বা দেশের অন্য জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব।
তিনি বলেন, ‘পদ্মা ব্রিজ তৈরিতে চীন আমাদের সহায়তা করছে। এটি হয়ে গেলে বাংলাদেশে কানেক্টিভিটি অনেক বৃদ্ধি পাবে। এর ফলাফল হিসেবে ওবিওআর উদ্যোগ উপকৃত হবে।’
তিনি বলেন, ‘ওবিওআরযে শুধু ভৌত কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিষয়টি এমন নয়। এটি অন্য জায়গায়ও বিনিয়োগের মাধ্যমে হতে পারে।’
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে চীন বড় আকারের বিনিয়োগ করেছে এবং এর মাধ্যমে চীনের প্রযুক্তি ও জ্ঞান বাংলাদেশে আসবে যার ফলে দেশের শেয়ার বাজার চাঙা হবে।
তিনি বলেন, ‘যদি আমাদের দেশে শক্তিশালী পুঁজি বাজার থাকে তবে চীনা বিনিয়োগকারীরা এখানে শেয়ারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে।’
চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং ২০১৩ সালে কাজাখস্থানে প্রথম তার বিআরআই ভিশনের বিষয়ে পৃথিবীকে জানান। এটি বাস্তবায়নের জন্য চীন এক ট্রিলিয়ন ডলারের তহবিলসহ এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বাংলাদেশ এর প্রথম সদস্যদের একজন।
চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ১০০০ কোটি ডলারের বেশি। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে চীনের অংশীদারিত্ব বেশি কারণ বাংলাদেশ ওই দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে কাচামাল, যন্ত্রাংশ ও ভোগ্য পণ্য আমদানি করে থাকে।