নির্বাচন আংশিক অংশগ্রহণমূলক হয়েছে: টিআইবি

টিআইবির সংবাদ সম্মেলনসব দলের অংশগ্রহণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও তা মূলত আংশিক অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আচরণবিধি ব্যাপকভাবে লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। একই সঙ্গে সরকারের নৈতিক অবস্থান সুদৃঢ় করার জন্য এসব অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) টিআইবির মাইডাস সেন্টারে ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যালোচনা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশের সময় এ দাবি করেন তিনি।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হলেও এটা আংশিক অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলা যেতে পারে। কারণ, সব দলের প্রার্থী থাকলেও প্রচারণায় সবার জন্য সমান সুযোগ ছিল না।’

নির্বাচন কমিশন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অবস্থানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘সব দলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দেখা যায়নি। প্রতিপক্ষকে দমনে সরকারি দলের সহায়ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে। নির্বাচনি আচরণবিধি নিয়ন্ত্রণে বৈষম্যমূলক আচরণ করতে দেখা গেছে। নির্বাচনের সময় তথ্য প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, যেটা বিতর্কিত হয়েছে। গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষদের জন্য অভূতপূর্ব কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছিল। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, প্রশাসন ও নির্বাচনি কর্মকর্তাদের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করতে দেখা গেছে। যেটা আইনের লঙ্ঘন।’

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের কারণে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘সর্বোপরি আংশিকভাবে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। আচরণবিধির ব্যাপক লঙ্ঘন হয়েছে। লঙ্ঘনের অভিযোগের কারণে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ এবং একটি অভূতপূর্ব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার ফলাফল অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা অবশ্যই ব্যাপকভাবে লজ্জাজনক ছিল।’

এসব অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘সরকারের নৈতিক দৃঢ়তার জন্য ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির জন্য যেসব অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে সেগুলোর বিচার বিভাগীয় তদন্তের ‍উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। যেটা তাদের ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অবস্থান সুদৃঢ় করবে।’