‘হালাল রুজি করেন, সঠিক সময়ে স্কুলে যান’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনশিক্ষকদের সঠিক সময়ে স্কুলে যেতে এবং নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা হালাল রুজি করতে চাই, হালাল খেতে চাই। আমাদের দায়িত্বগুলো যাতে আমরা অন্তত পালন করি। আমরা সঠিক সময়ে স্কুলে যেতে চাই, ঠিক সময়ে স্কুল থেকে আসতে চাই। আমাদের ছেলেমেয়েদের ভালো শিক্ষা দিতে চাই। যাতে তারা নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।’

মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা জেলার চারটি উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা এবং শিক্ষকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলার সময় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সাভার, দোহার, নবাবগঞ্জ এবং ধামরাই উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন মন্ত্রী ও সচিব।

এ সময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সন্তানরা যাতে কিন্ডার গার্টেনে না পড়ে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি সরকারি কর্কচারী-কর্মকর্তা না, আমি আপনাদের ভোটে নির্বাচিত লোক, সরাসরি আমার সাথে টেলিফোনে কথা বলবেন। আমার দরজা সকলের জন্য খোলা থাকবে। যেকোনও সমস্যা নিয়ে, আমার বিরুদ্ধে হলেও আমাকে বলবেন। ভবিষ্যতে যেন কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শিক্ষার্থীরা আপনার স্কুলে যেতে চায়, আপনার স্কুলের ছেলেরা কিন্ডার গার্টেনে যাতে না যায়।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কেজি স্কুলের মাস্টাররা তো বেতনও পায় না, আপনারা যতটা পান। তাই আপনারা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করবেন। আর যে স্কুল এটা করতে পারবে, আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে পুরস্কৃত করবো।’

শিশু শিক্ষার্থীদের বইয়ের বোঝা কমানোর কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একটা বাচ্চার পক্ষে এতগুলো বই নিতে কষ্ট হয়। আমরা চাচ্ছি মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করলে বইয়ের ভার কমবে।’

শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য কমানোর উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বেতন বৈষম্য কেন থাকবে। আপনাদের অনেক সমস্যা আছে আমি জানি।’

জাকির হোসেন বলেন, ‘আমি লক্ষ্য করেছি আপনাদের বদলি নিয়ে টিও অফিসে ঝামেলা হয়। অনেক দালাল আপনাদের পেছনে লাগানো আছে। আমি এগুলো টলারেট করবো না। কোনও শিক্ষা কর্মকর্তা যদি শিক্ষকদের হয়রানি করেন, আমি তাদের মার্সি করবো না। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনাদের মাথা তারা যেন নষ্ট করতে না পারে। আমি দেখছি এই শিক্ষককে এখানে বদলি করে, ওখানে বদলি করে। এর ভেতর দিয়ে টাকা-পয়সাও নেওয়া হয়। আবার শিক্ষকদের ভেতরে কিছু শ্রেণি আছে, তারা আবার টিও সাহেবের বগলে সুন্দরভাবে বসে আরেক শিক্ষকের ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র করে।’

প্রতিমন্ত্রী শিক্ষকদের মা-বাবার ভূমিকায় দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা তাদের ভালোভাবে তৈরি করতে পারলে আগামী বাংলাদেশ ভালোভাবে তৈরি হবে।’