প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ওআইসি মহাসচিবের অভিনন্দন

শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজের (ওআইসি) মহাসচিব ড. ইউসুফ বিন আহমাদ আল ওথাইমিন। রবিবার সৌদি আরবের জেদ্দায় ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৬তম সম্মেলনের প্রস্তুতি সভার উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এই অভিনন্দন জানান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওআইসির মহাসচিব আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শান্তি, উন্নয়ন ও প্রগতির পথে যাত্রা অব্যাহত রাখবে। 

এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকের সঙ্গে এক আলোচনায় ওআইসি মহাসচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আশাবাদ পুনর্ব্যক্ত করেছেন। দীর্ঘ এক ঘণ্টার বৈঠকে তারা ওআইসির ও দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।

এর আগে রবিবার সকালে ওআইসির সদর দফতরে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের তিন দিনব্যাপী সভার উদ্বোধন করেন শহীদুল হক। ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৬তম সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছে এই প্রস্তুতিমূলক এই সভা। সম্মেলনটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে এ বছরেই। বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলনের সভাপতি ছিল। ২০১৮ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল ‘কাউন্সিল অব মিনিস্টার্সের’(সিএফএম) শেষ সম্মেলন। এ দিন পররাষ্ট্র সচিব আনুষ্ঠানিকভাবে সিএফএমের সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর করেন আরব আমিরাতের প্রতিনিধি দলের কাছে।

বিদায়ী ভাষণে শহীদুল হক বাংলাদেশের দায়িত্ব পালনকালে অর্জিত ওআইসির সাফল্যগুলোর তথ্য তুলে ধরেন এবং সহযোগিতার জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ধন্যবাদ জানান। ওআইসির জন্য একটি সুনির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি এবং প্রগতিশীল ও আত্মবিশ্বাসী ইসলামিক উম্মাহ গড়ে তুলতে সংস্থাটিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে স্মরণ করেন তিনি। টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা, ঐক্য ও উন্নয়নের ইসলামি মূল্যবোধ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘প্রত্যক্ষ ও আলোকিত’ নেতৃত্বে থাকা বাংলাদেশের ভূমিকার কথাও তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।

পররাষ্ট্র সচিব হক ফিলিস্তিন ও রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে ওআইসির ভূমিকার প্রশংসা  পরে তিনি  রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার হরণের বিষয়ে নবগঠিত অ্যাডহক কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে কমিটির বিবেচনায় থাকা বিভিন্ন পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা হয়। রোহিঙ্গা বিষয়ক অ্যাডহক কমিটির বৈঠক ১০ ফেব্রুয়ারি গাম্বিয়াতে অনুষ্ঠিত হবে।