শনিবার ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবিতে কর্মের হাত ৩০ এর শেকল বাধা কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করে।
তিনি বলেন, ‘দেশে এক কোটি ৫০ লাখ উচ্চ শিক্ষিত বেকারের তিন কোটি হাতকে বয়সের রশিতে পিঠমোড়া দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। এদের বাঁধন খুলে দিন, হাতে কর্মস্থলে দিন, দেশ উন্নতির স্বর্ণশিখরে হরণ করবে। বর্তমান সংসদের চলতি অধিবেশনে ৩৪ এর বাস্তবায়ন চাই।’
তিনি বলেন, সারাদেশের উচ্চ শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ২০১২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ঢাকাসহ সারাদেশের সব জেলায় সরকারি চাকরির আবেদনের সময়সীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে নূন্যতম ৩৫ করার দাবিতে অহিংস, অরাজনৈতিক পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছে। আমাদের বর্তমান রাষ্ট্রপতি স্পিকার থাকাকালীন সময়ে ২০১২ সালের ৩১ মে নবম জাতীয় সংসদে ৭১ বিধিতে জনগুরুত্বসম্পন্ন নোটিশের ওপর আলোচনা করার সময় ৩৫ এর পক্ষে আলোচনা করেন। নবম জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে দশম জাতীয় সংসদ পর্যন্ত ১০০ বারের বেশি বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি এখনও ঝুলে আছে।
এসময় অন্যান্যরা বলেন, একাডেমিক পড়া শেষ করে চাকরি পরীক্ষার জন্যও বাড়তি পড়াশোনা করতে হয়। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পদ খালি থাকা সত্ত্বেও সময়মতো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। আপনার সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ক্ষমতায় এসেই বয়সসীমা বৃদ্ধি করবে। বিগত সাত বছর ধরে আন্দোলন করে আর আমাদের বয়স সীমা ৩৫ এর কাছাকাছি। আরও কয়েক বছর আগেই আমাদের এই দাবির বাস্তবায়ন করে দিলে এমনটা হতো না।
মানববন্ধনকর্মসূচিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাসির আহমেদ, নাদিয়া সুলতানা, মামুনুর রশিদ, কামরুজ্জামানসহ প্রায় শতাধিক চাকরি প্রত্যাশীরা উপস্থিত ছিলেন।