এমপিওভুক্তি না হলে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হবে, সংসদে সাবেক দুই মন্ত্রী





জাতীয় সংসদ (ছবি- সাজ্জাদ হোসেন)দশম সংসদের ধারাবাহিকতায় একাদশ জাতীয় সংসদের শুরুতেই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) দাবি উঠেছে। সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিদায়ী সরকারের দুই মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও হাসানুল হক ইনু এমপিভুক্তির দাবি তোলেন। তারা বলেন, এটি বাস্তবায়ন করা না হলে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা হবে।
সোমবার সংসদে সম্পূরক কার্যসূচিভুক্ত সংসদীয় কমিটি গঠনের পর মোহাম্মদ নাসিম ফ্লোর নিয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, এমপিওভুক্তির জন্য বাংলাদেশে লাখ লাখ শিক্ষক কিছুদিন আগে আন্দোলন করেছেন। শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে আমরা সব এমপি জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম। আমাদের সেই নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সময় এসে গেছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় শিক্ষকেরা অনেক পরিশ্রম করেছেন। আন্তরিকতার সঙ্গে নির্বাচনে আমাদের সাহায্য করেছেন। এটা ভুলে গেছে চলবে না।
মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, এমপিওভুক্তির জন্য বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা দেওয়া হয়েছে। এর জরিপও হয়ে গেছে। এ জন্য প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা লাগবে। অর্থমন্ত্রী এ খাতে ৪৩২ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ করবো কথা রাখুন। এ অর্থ বছরে সম্পূরক বাজেটের মাধ্যমেই বরাদ্দ দিয়ে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে। না হলে জনগণের কাছে আমরা ওয়াদা ভঙ্গ করবো।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবি শিক্ষা খাতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অভূতপূর্ব বিস্তার হয়েছে। শিক্ষার ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়েছে। প্রাথমিকে লক্ষাধিক শিক্ষকের জাতীয়করণ হয়েছে। কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি দাবি উপেক্ষিত রয়েছে।
শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবি তুলে তিনি বলেন, আমরা গত ৫ বছরে আমরা সংসদ সদস্যরা যতবার দাঁড়িয়েছি শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির কথা বলেছি। কিন্তু অর্থমন্ত্রী টাকা বরাদ্দ করেননি। গত নির্বাচনের আগে যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে তা বিলিবণ্টন করা সম্ভব হয়নি। কাজেই এমপিওভুক্তি হয়নি। এরকম একটি পর্যায়ে এই মুহূর্তে নজর দেওয়ার সময় এসেছে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের জন্য। শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়নে নজর দেওয়ার সময় এসেছে। তাদের জীবনমান উন্নয়ন করতে হলে এমপিওভুক্তি হচ্ছে প্রাথমিক পদক্ষেপ। শিক্ষকদের মর্যাদা দেওয়া আমাদের জাতীয় কর্তব্য।