এবার হজে যাবেন এক লাখ ২৭ হাজার জন

হজযাত্রী (ফাইল ফটো)এবার সরকারি ও বেসরকারিভাবে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ ব্যক্তি হজ করতে সৌদি আরব যাবেন। এরমধ্যে বেসরকারিভাবে যাবেন এক লাখ ২০ হাজার, বাকি সাত হাজার ১৯৮ জন যাবে সরকারিভাবে।

সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘হজ প্যাকেজ ১৪৪০ হিজরি/২০১৯ সাল’ খসড়ার অনুমোদন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা শেষে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। এ সময় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আনিছুর রহমান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রইস-উল আলম মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে হলে প্যাকেজ ১-এর আওতায় টাকা লাগবে মোট চার লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা। প্যাকেজ ২-এর আওতায় হজে যেতে চাইলে টাকা লাগবে তিন লাখ ৪৪ হাজার টাকা। এছাড়া, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে হজে যাবেন, তাদের সর্বনিম্ন তিন লাখ ৪৪ হাজার টাকা দিতে হবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কাবা শরিফ থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে যাদের ভাড়া বাড়িতে রাখা হবে, তারা প্যাকেজ ১-এর আওতায় থাকবেন। বাসা থেকে তারা কাবা শরিফ যাতায়াত করবেন ট্রেনে। প্যাকেজ ২-এর আওতায় যারা থাকবেন, তারা কাবা শরিফ থেকে দুই কিলোমিটার দূরে থাকবেন। তারা যাতায়াত করবেন বাসে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ‘দুই প্যাকেজেই বিমান ভাড়া এক লাখ ২৮ হাজার টাকা, যা গত বছরের তুলনায় ১০ হাজার ১৯১ টাকা কম। হজে যেতে বিমান ভাড়া কমলেও বেড়েছে প্যাকেজ মূল্য। ট্রেন ও বাড়ি ভাড়া বাড়ার কারণে প্যাকেজ ১-এ সার্বিক মূল্য বেড়েছে ২০ হাজার ৫৭১ টাকা। আর প্যাকেজ ২-এ বেড়েছে ১২ হাজার ৬৪১ টাকা।’
মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ আগস্ট পবিত্র হজ পালিত হবে। যারা এ বছর হজে যাবেন তাদের এমআরপি’র মেয়াদ ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকতে হবে। এবার সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরব যাবেন। এরমধ্যে বেসরকারিভাবে যাবেন এক লাখ ২০ হাজার জন। বাকি সাত হাজার ১৯৮ জন যাবেন সরকারিভাবে। প্রতি হজযাত্রীকে ৬৮ রিয়াল ব্যাংক গ্যারান্টি বাবদ জমা রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে দুইবার বা তার বেশি যারা হজ পালন করেছেন, তাদের বাড়তি হিসাবে দুই হাজার ১০০ রিয়াল দিতে হবে। একটি এজেন্সি সর্বনিম্ন ১৫০ জন এবং সর্বোচ্চ ৩০০ জন হজযাত্রী পাঠাতে পারবেন। প্রতি ফ্লাইটে তিনজন মোয়াল্লেম থাকবেন। কোরবানি বাবদ পাঁচ হাজার ৫২৫ সৌদি রিয়াল ইসলামি ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে জমা দিতে হবে।’