বাংলাদেশ-ভারতের বিমান বাহিনী একযোগে কাজ করতে পারে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও ভারতের বিমান বাহিনী একযোগে কাজ করতে পারে। ভারতের বিমান বাহিনীর প্রধান মার্শাল বিরেন্দর সিং ধানোয়া সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতীয় সংসদ ভবনে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করি, দুই বিমান বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। দুই বাহিনী যেকোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করতে পারে।’ সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রেস সচিব জানান, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে এবং আমি আশা করি, এ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে।’

বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের বিস্ময়কর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে। তাঁ র সরকারের লক্ষ্য হলো— তৃণমূল পর্যায় থেকে উন্নয়ন করা।’

দারিদ্র্য বিমোচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে দারিদ্র্যের হার ২১ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।’

শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি ভারত সরকার ও তার বিমান বাহিনীর সহায়তার কথা স্মরণ করেন।

ভারতের বিমান বাহিনীর প্রধানও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ভারতীয় বিমান বাহিনী ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একযোগে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, ‘যেহেতু এ অঞ্চলটি দুর্যোগপ্রবণ, তাই যেকোনও দুর্যোগ মোকাবিলায় দুই বিমান বাহিনী একযোগে কাজ করতে পারে।’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাদানকারী ভারতীয় সেনাদের প্রতিবছর বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এতে খুবই আনন্দিত।’

বিরেন্দর সিং ধানোয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার তিন মাসের মধ্যেই ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর দেশের ফিরে যাওয়ার কথা স্মরণ করে বলেন, ‘এটি যুদ্ধ শেষে স্বল্পতম সময়ে কোনও বাহিনীর দেশে ফিরে যাওয়ার একমাত্র দৃষ্টান্ত।’

তিনি বলেন, ‘ভারতীয় বিমান বাহিনী বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সক্ষমতা বিনির্মাণে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।’

ভারতের বিমান বাহিনীর প্রধান বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অবকাঠামোর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘এটি বিশ্বমানের।’ তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতের (আরএমজি) উন্নয়নেরও ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘ভারতের বাইরে আমি কোনও পোশাক-আশাক কিনতে গেলে সব সময় ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগ দেখতে পাই।’

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন ও ভারপ্রাপ্ত ভারতীয় হাইকমিশনার ড. আদার্শ সোয়াইকা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বাসস