সব হাসপাতালে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি খতিয়ে দেখা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকস্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আগুনের ঘটনাটি আমাদের জন্য একটি শিক্ষা। দেশের সব মেডিক্যাল হাসপাতাল পুরানো হয়ে গেছে। হাসপাতালগুলোর ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম আধুনিক করা প্রয়োজন। ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ঠিক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। নিয়মিতভাবে অগ্নি নির্বাবক মহড়ার ব্যবস্থা করা হবে।’ 

শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বারিধায়ায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আগুনের ঘটনাটি শুধুই শট সার্কিট থেকে না অন্য কোনও কারণে হয়েছে তা আমরা খতিয়ে দেখবো। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আলাদা একটি তদন্ত কমিটি গঠনের ব্যাপারে বলা হয়েছে। তিনিও কমিটি করে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।’


তিনি বলেন, ‘গতকালের ঘটনারপর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মোট ৩৮৫ জন রোগীকে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজনকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে। আশপাশের সবগুলো হাসপাতালে মোট ৪৯২ জন রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। গতকালকে যখন আগুন লাগে তখন হাসপাতালে ১২শ রোগী ভর্তি ছিলেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আগুনের পর কিছু রোগী হাসপাতালে আছেন। কিছু রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। কালকে (বৃহস্পতিবার) রাত ১০টার পরে হাসপাতালের ১৬টি ইউনিটের মধ্যে ১৪টি ইউনিট চালু করা হয়েছে। সেখানে এখন রোগী ভর্তি আছে। হাসপাতালের দুটি ইউনিট গাইনি ও শিশু ইউনিট সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ইউনিট দুটি অল্প সময়ের মধ্যে চালু করতে পারবো বলে আশা করছি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালের ইলেকট্রিক তার ও লাইনগুলো ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হবে। ভেতরে যেখানে আগুন লেগেছে সেখানে কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরে মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ।

আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ভেতরে আর কোনও রোগী নেই

                 সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল আংশিক চালু