সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৯ জনকে চূড়ান্ত বিজয়ী ঘোষণা

নির্বাচন ভবন

একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৯ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চূড়ান্তভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রবিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে ইসি সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব ও সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার মো. আবুল কাসেম এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ‘শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে কোনও প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি এবং একই আসনে একাধিক প্রার্থীও ছিল না।’

রিটার্নিং অফিসার বলেন, ‘আমাদের আইনে আছে, যদি কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকে, আর সেখান থেকে যদি কেউ প্রত্যাহার না করে, তাহলে প্রত্যাহারের শেষ দিনের পরের দিন তাদের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করতে হবে। তাই কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় আমি ৪৯ জন সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করলাম।’

তিনি  বলেন, ‘গেজেট প্রকাশের জন্য ইসি সচিবালয় আজই  (রবিবার) এই ৪৯ জনের নামের তালিকা সরকারি  বিজি প্রেসে পাঠাবে। আজ  বা আগামীকালের মধ্যে গেজেট ছাপা হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’

চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ৪৯ জনের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৪৩ জন, জাতীয় পার্টির চার জন, স্বতন্ত্র- এক জন এবং ওয়ার্কার্স পার্টির এক জন রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের ৪৩ জন হলেন—  ঢাকা থেকে শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, শবনম জাহান শিলা, সুবর্ণা মুস্তফা ও নাহিদ ইজহার খান, চট্টগ্রাম থেকে খাদিজাতুল আনোয়ার ও ওয়াশিকা আয়েশা খানম, কক্সবাজার থেকে কানিজ ফাতেমা আহমেদ, খাগড়াছড়ি থেকে বাসন্তি চাকমা, কুমিল্লা থেকে আঞ্জুম সুলতানা ও আরমা দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, গাজীপুর থেকে শামসুন্নাহার ভূঁইয়া ও রুমানা আলী, বরগুনা থেকে সুলতানা নাদিরা, জামালপুর থেকে হোসনে আরা, নেত্রকোনা থেকে হাবিবা রহমান খান ও জাকিয়া পারভীন খানম, পিরোজপুর থেকে শেখ এ্যানী রহমান, টাঙ্গাইল থেকে অপরাজিতা হক ও খন্দকার মমতা হেনা লাভলী, সুনামগঞ্জ থেকে শামীমা আক্তার খানম, মুন্সিগঞ্জ থেকে ফজিলাতুন্নেছা, নীলফামারী থেকে রাবেয়া আলী, নংরসিদী থেকে তামান্না নুসরাত বুবলী, গোপালগঞ্জ থেকে নার্গিস রহমান, ময়মনসিংহ থেকে মনিরা সুলতানা, ঝিনাইদহ থেকে খালেদা খানম, বরিশাল থেকে সৈয়দা রুবিনা মিরা, পটুয়াখালী থেকে কানিজ সুলতানা, খুলনা থেকে গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, দিনাজপুর থেকে জাকিয়া তাবাসসুম, নোয়াখালী থেকে ফরিদা খানম সাকী, ফরিদপুর থেকে রুশেমা বেগম, কুষ্টিয়া থেকে সৈয়দা রাশেদা বেগম, মৌলভীবাজার থেকে সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, রাজশাহী থেকে আদিবা আনজুম মিতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, শরিয়তপুর থেকে পারভীন হক শিকদার, রাজবাড়ী থেকে খোদেজা নাসরীন আক্তার হোসেন, মাদারীপুর থেকে তাহমীনা বেগম, পাবনা থেকে নাদিয়া ইয়াসমিন জলি ও নাটোর থেকে রত্না আহমেদ।

জাতীয় পার্টির চার সদস্য হলেন— সালমা ইসলাম, রওশনারা মান্নান, নাজমা আক্তার ও মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী।

ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে লুৎফুন নেসা খান এবং স্বতন্ত্র হিসেবে জয়ী সেলিনা ইসলাম।

নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, বিএনপি নারীদের জন্য সংরক্ষিত একটি আসন পেয়েছে। কিন্তু দলটি সংসদে যোগ না দেওয়ায় এই আসনে ভোট হয়নি।বাসস