পার্বত্য অঞ্চলে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বাড়াতে সংসদে বিল

জাতীয় সংসদ

সমতলের মতো পার্বত্য অঞ্চলের ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণে সমতা আনতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত দ্য চিটাগং হিল ট্র্যাকস (ল্যান্ড অ্যাকুইজিশন) রেগুলেশন (সংশোধন) বিল ২০১৯ সংসদে তোলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। পরে বিলটি যাচাই-বাছাই করে ৬ দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সরকারি কাজে ভূমি অধিগ্রহণ করলে ক্ষতিগ্রস্তরা বাজার মূল্যের অতিরিক্ত আরও ২০০ শতাংশ ক্ষতিপূরণ পাবেন। বেসরকারি কাজে অধিগ্রহণ করলে ক্ষতিপূরণ পাবেন বাজারমূল্যের সঙ্গে আরও ৩০০ শতাংশ। বিদ্যমান আইনে  ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ১০০ টাকায় ১১৫ টাকা। অর্থাৎ বাজার মূল্যের পাশাপাশি মাত্র ১৫ শতাংশ বেশি দেওয়ার কথা ছিল।

গত ৩ ডিসেম্বর বিলটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেছিলেন, সমতলে ৬১টি জেলার সঙ্গে মিল রেখে এই ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণটা বাড়ানো হয়েছে।

অবশ্য গত ১৮ ডিসেম্বর অধ্যাদেশ আকারে সরকার প্রস্তাবিত আইনের সুপারিশ কার্যকর করেছে। পরে ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে বিলটি মন্ত্রিসভায় নতুন করে অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিলটির কারণ ও উদ্দেশ্য সম্বলিত বিবৃতিতে ভূমিমন্ত্রী বলেন, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে পার্বত্য জেলার অধিগ্রহণ করা ভূমির ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে মূল্য হারের সমতা আনার জন্য চিটাগং হিল ট্র্যাকস (ল্যান্ড অ্যাকুইজিশন) রেগুলেশন ১৯৫৮ সংশোধন করে সরকারি সংস্থা/দফতরের জমির মূল্যের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২০০ শতাংশ এবং বেসরকারি সংস্থা/ব্যক্তির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৩০০ শতাংশ নির্ধারণ করে ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে অধ্যাদেশ জারি হয়। অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করা অপরিহার্য।