মেহেদী আহমেদ বলেন, ‘ওয়াহিদ ম্যানশনের গ্রাউন্ড ফ্লোর ও দ্বিতীয় তলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিম ও কলামগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিন-চার তলার বিম ও কলাম তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তবে কতোটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এক সপ্তাহ পর জানা যাবে, ভবনটি ব্যবহারের উপযোগী কিনা।’
বুয়েট অধ্যাপক বলেন, ‘আগুন লাগা অন্যান্য ভবনগুলোও আমরা পরিদর্শন করেছি। তবে ভবনগুলো টিকে থাকার জন্য বিম ও কলাম প্রাথমিকভাবে ভালো মনে হয়েছে। এগুলো ব্যবহারের উপযোগী কিনা পরীক্ষা শেষে এক সপ্তাহ পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
ভবনগুলো বিল্ডিং কোড মেনে হয়নি উল্লেখ করে মেহেদী আহমেদ বলেন, ‘ওয়াহিদ ম্যানশনের দ্বিতীয় তলার পুরোটাতেই গোডাউন ছিল। এটি বেশ বড় ভবন হওয়া সত্বেও আগুনের কোনও ইকুইপমেন্ট নেই, পর্যাপ্ত সিঁড়ি নেই। ভবনগুলো বিল্ডিং কোড মেনে তৈরি হয়নি। আগুনের সূত্রপাত হয়তো সিলিন্ডার বিস্ফোরণে, কিন্তু কেমিক্যালের কারণে আগুন ছড়িয়েছে।’
কমিটির প্রধান ডিএসসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা সকাল ৯টার পর ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো পরিদর্শনে এসেছি। আগুনে পাঁচটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে তিনটি ভবন প্রাথমিকভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী বলে মনে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবাসিক এলাকায় কেমিক্যাল গোডাউনের অনুমতি নেই। সরকারের নির্দেশনার পর নতুন করে লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় কয়েকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, যেকোনও মূল্যে সবাই মিলে এসব এলাকার কেমিক্যাল গোডাউন সরিয়ে নেওয়া হবে।’
এতদিন সরানো হয়নি কেন জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়তই চেষ্টা করে যাচ্ছি। এবার যেকোনও মূল্যে সেসব সরিয়ে নেওয়া হবে।’