কর্ণফুলীর বঙ্গবন্ধু টানেলের খননকাজ উদ্বোধন রবিবার

 

টানেল (ছবি: বাসস)প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের বোরিং কাজ উদ্বোধন করবেন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আবু নাছের টিপু জানান, আট হাজার ৮৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে টানেলটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ। ২০২২ সালের মধ্যে এর নির্মাণকাজ শেষ হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ সহায়তা তিন হাজার ৯৬৭ কোটি ২১ লাখ এবং চীন সরকারের অর্থ সহায়তা পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা। দুটি টিউবের মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার। পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক। আর ৭২৭ মিটার ওভার ব্রিজসহ এই টানেল চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলাকে শহরাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম শহরকে বাইপাস করে ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে। এতে চট্টগ্রাম শহরের যানজট কমে যাওয়াসহ সময়ও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।
মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, কর্ণফুলী নদী চট্টগ্রাম শহরকে দুই ভাগে ভাগ করে দিয়েছে। এক ভাগে রয়েছে নগর ও বন্দর এবং অন্য ভাগে রয়েছে ভারী শিল্প এলাকা। কর্ণফুলী নদীতে এরই মধ্যে তিনটি সেতু নির্মিত হয়েছে। তবে এসব সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য যথেষ্ট নয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, মরফলজিক্যাল বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কর্ণফুলী নদীর তলদেশে পলি জমা একটি বড় সমস্যা। এ পরিস্থিতি চট্টগ্রাম বন্দর কার্যকর রাখার জন্যও বড় হুমকি। এই পলি জমার সমস্যা মোকাবিলায় নদীর ওপর আর কোনও সেতু নির্মাণ না করে তলদেশে টানেল নির্মাণ করা প্রয়োজন বলে বিশেষজ্ঞরা মত দেন।
উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত টানেল সাইটে নদীর প্রস্থ ৭০০ মিটার এবং পানির গভীরতা ৯-১১ মিটার। প্রস্তাবিত টানেলের দৈর্ঘ্য তিন হাজার ৪০০ মিটার। ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর টানেল নির্মাণে চীনের সঙ্গে চুক্তি সই হয়।