জানা গেছে, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্মল বায়ু এবং টেকসই পরিবেশ (কেইস) প্রকল্পের আওতায় এই যাত্রী ছাউনিটি নির্মাণ করা হয়েছে। ছাউনিটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা। প্রায় ছয় মাস আগে এটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু চালু হওয়ার পর থেকে যাত্রী ছাউনিটি অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা বিরাজ করলেও ডিএনসিসি’র পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ সাধারণ যাত্রীদের।
উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সূত্র জানায়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে রাজধানীতে ১৪০টি বাস স্টপেজ ও ৫০টি যাত্রী ছাউনি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় দুই সিটি। এরইমধ্যে সব কটি বাস স্টপেজ ও ৩৮টি জায়গায় যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছে, এরমধ্যে ২৮টি দক্ষিণ সিটিতে এবং ১০টি উত্তর সিটিতে। আরও ১২টি যাত্রী ছাউনির নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। মালিবাগের এই যাত্রী ছাউনিটি ঢাকা উত্তর সিটির।
সরেজমিন দেখা গেছে, যাত্রী ছাউনির সামনেই রয়েছে দু’টি বর্জ্যের ডাস্টবিন। আশপাশের বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে এই ডাস্টবিনেই রাখা হচ্ছে। দিনভর পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বর্জ্য আনা-নেওয়ার কাজ করেন। ফলে সবসময়ই দুর্গন্ধ ছড়োচ্ছে। যাত্রী ছাউনিতে দাঁড়াতে বা বেঞ্চে বসতে পারছেন না।
জানতে চাইলে বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রতিদিনই ক্লাসে যাওয়া-আসার সময় এখানে এসে বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়। যাত্রী ছাউনিটি দেখতে সুন্দর হলেও পরিবেশের কারণে বসা যায় না।দুর্গন্ধে বমি আসে।’
উত্তরার বাসিন্দা ছাইদুল ইসলাম বলেন, ‘জনগণের ট্যাক্সের টাকায় সিটি করপোরেশন এই যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করেছে। যারা এটা নির্মাণ করেছে, তারাই আবার ব্যবহারের অযোগ্য করে রেখেছে। ডিএনসিসির উচিত হবে দ্রুত এই ডাস্টবিন সরিয়ে নিয়ে যাত্রীদের জন্য এই ছাউনিটি ব্যবহার উপযোগী করা।’
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সচিব ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখেবো। সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দিচ্ছি— যদি এমন হয়ে থাকে, তারা যাতে ব্যবস্থা নেবেন।’
জানতে চাইলে নির্মল বায়ু এবং টেকসই পরিবেশ (কেইস) প্রকল্পের পরিচালক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নির্মাণ শেষে আমরা যাত্রী ছাউনিটি উত্তর সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করে দিয়েছি। এখন এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাদের। ’