সোমবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন হলের সামনে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। কেউ কেউ আধা ঘণ্টা, কেউ কেউ ঘণ্টা খানেক ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ভোট কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে স্যার এ এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র রাকিব বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়াকে কঠিন মনে হচ্ছে। কারণ অল্প সময়ে ৩৮টি ভোট দিতে হবে। আমরা সাধারণ টিক চিহ্ন দিয়ে অভ্যস্ত। এখানে দিতে হবে ক্রস চিহ্ন। আর সদস্য পদে এত প্রার্থী, নাম খুঁজে পেতেই কয়েক মিনিট চলে যায়। এমনিতে পরিবেশ ভালো,এটা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।’
তবে পদ্ধতিকে খুব সহজ বললেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জিএস প্রার্থী গোলাম রাব্বানী। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রক্রিয়াকে আমরা যতটা জটিল ভেবেছিলাম আসলে তা না। অনেক সহজ, একেবারেই ইজি। চাইলে ৩৮টি ভোট দেড় থেকে দুই মিনিটেই দেওয়া সম্ভব। অনেকগুলো বুথ আছে, সবাই ভোট দিতে পারবে।’
রোকেয়া হলে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর। ভোট দিয়ে আসা ইতিহাস বিভাগের সায়মা কানিজ বলেন, ‘ভোটের প্রক্রিয়া সহজ, তবে আমাদের হলে অনেক ভোটার। তাই একটু সময় বেশি লাগছে মনে হয়। সমস্যা হচ্ছে আমরা হল সংসদের প্রার্থীর ক্ষেত্রে সহজভাবে দিতে পারছি কিন্তু কেন্দ্রীয় পদে প্রার্থীর সংখ্যা অনেক, সেখানে একটু সমস্যা হচ্ছে। এমনিতে পরিবেশ ভালো আছে।’
একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী অপর্ণা বলেন, ‘আমাদেরকে তিন মিনিট সময়ের কথা বলা হলেও কাউকে চাপ দেওয়া হচ্ছে না এই সময়ের মধ্যে ভোট দেওয়ার জন্য। ’
আরও পড়ুন:
তিন ঘণ্টা পর কুয়েত মৈত্রী হলে ভোটগ্রহণ শুরু
ব্যালটে সিল, কুয়েত মৈত্রীর প্রভোস্ট অপসারণ
‘নীল নকশার নির্বাচন করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন’ (ভিডিও)
প্রবেশ গেটের নিয়ন্ত্রণ ছাত্রলীগের হাতে: ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজ
ডাকসু নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে ছাত্রলীগ ছাড়া শঙ্কিত সবাই
সিল মারা ব্যালট উদ্ধার, কুয়েত মৈত্রী হলে ভোট স্থগিত
এক ঘণ্টা দেরিতে রোকেয়া হলের ভোটগ্রহণ শুরু
প্রথম ভোট দিতে সময় লেগেছে ৪ মিনিট
ডাকসু নির্বাচনে ভোট শুরুর আগেই লাইন
ডাকসুর ভোটগ্রহণ শুরু