ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ছাত্রলীগকে জিতিয়ে দিতে আচরণবিধি লঙ্ঘণ করে যা ইচ্ছে তাই করা হলেও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
স্বতন্ত্র জোট প্যানেলের ভিপি প্রার্থী অরণী সেমন্তি খান বলেন, ‘দখলদারিত্ব দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, হলে সামনে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।’
ছাত্রলীগের প্রার্থী সমর্থক ছাড়া অন্য ছাত্র সংগঠন ও জোটের প্রার্থীদের অভিযোগ— সকাল থেকে ছাত্রলীগের কর্মীরা হলের সামনে কয়েক দফা মোটরসাইকেলে করে মহড়া দেয়। ভোট শুরুর আগে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভোটারদের প্রভাবিত করতে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানানোর মধ্যদিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘণ শুরু করে। ফুল দিয়ে বরণ করার বিষয়ে হোম ইকোনমিক্স কলেজের ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট কানিজ ফাতেমা সোনিয়া বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে শাহবাগ মোড়ে ভোটারদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিচ্ছি। আমরা শোভন-রাব্বানী-সাদ্দাম পরিষদের ভোট চাইছি ভোটারদের কাছে।’
ডাকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র লীগের সভাপতি সঞ্জিব চন্দ্র দাস বলেন, ‘কোথাও আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।’
তবে ছাত্রদলের ভিপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনে যে আচরণবিধি রয়েছে, ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড দেখে তা মনে হচ্ছে না। যখন যা খুশি তারা তা-ই করছে। প্রশাসন সুনিশ্চিতভাবে ছাত্রলীগকে জিতিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের আচরণবিধি লঙ্ঘন ও প্রভাব খাটানোটাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না, ব্যবস্থাও নিচ্ছে না।’
স্বতন্ত্র জোট প্যানেলের ভিপি প্রার্থী অরণী সেমন্তি খান বলেন, ‘প্রতিটি হলে ছাত্রলীগ দখলদারিত্ব দেখানোর চেষ্টা করছে। হলের সামনে অবস্থান নিয়েছে। ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।’
স্বতন্ত্র জিএস প্রার্থী আসিফুর রহমান বলেন, ‘ভোটারদের লাইনে ঢুকে ফুল দেওয়া নির্বাচনের আচারণবিধি লঙ্ঘন। এটা কেউ করতে পারে না। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছি।’
উল্লেখ্য,দীর্ঘ ২৮ বছর পর আজ (১১ মার্চ) অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ( ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুসারে ডাকসুর ২৫টি পদের বিপরীতে লড়ছেন ২২৯ জন প্রার্থী। ডাকসুর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী মোট ভোটার সংখ্যা ৪২ হাজার ৯২৩ জন।