ডাকসুর গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে, নির্বাচিত কর্মকর্তারা এক সেশনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন এবং পরবর্তী নির্বাচিত নেতৃত্ব দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার আগ পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন।
ডাকসুর সাবেক নেতারা বলছেন, ডাকসু নির্বাচনের পর নতুন নেতৃত্ব শপথ গ্রহণ করার বিষয় হয়নি। শপথ গ্রহণ করার কোনও অনুষ্ঠানও হয়নি। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের উপস্থিতিতে অভিষেক অনুষ্ঠান হয়েছে। অনুষ্ঠান আয়োজন করে সংশ্লিষ্ট বিজয়ী নেতৃত্ব।
মাহমুদুর রহমান মান্না ১৯৭৯ সালে ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘আমার সময় তো কোনও শপথ নেওয়ার মতো কিছু হয়নি। দায়িত্ব হস্তান্তর বলেও কিছু হয়নি। আমরা বড় করে অভিষেক অনুষ্ঠান করেছিলাম। সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম।’
ডাকসু গঠনতন্ত্রের ৬ (গ) ধারা বলছে, ইউনিয়নের নির্বাচিত নেতৃবৃন্দরা এক সেশনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন এবং পরবর্তী নির্বাচিত নেতৃত্ব দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার আগ পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন।
ডাকসুর নির্বাচনে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার সহায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শপথের কোনও বিষয় নেই। তবে ডাকসুর সভাপতি মাননীয় উপাচার্য একটি সভা ডাকবেন। সেখানে দায়িত্ব দেওয়াসহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।’
গঠনতন্ত্রের নিয়মে তিনদিনের মধ্যে উপাচার্যকে নির্বাচন নিয়ে কোনও সমস্যা থাকলে তা নিষ্পত্তি করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে না হলে উপাচার্যের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
ইতোমধ্যে ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্যানেলগুলোর নেতারা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে তিন দিনের একদিন পার হয়েছে। বাকি দুই দিনের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে জটিলতার নিষ্পত্তি না ঘটলে উপাচার্য এই নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত কী সিদ্ধান্তে যাবেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন:
যে কারণে ডাকসুতে নিজেদের নিরঙ্কুশ জয়ী ভাবছে ক্ষমতাসীনরা