তারেক আহমেদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা নিউ জিল্যান্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিয়েছি এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে তাদের দ্রুত দেশে ফেরার ব্যবস্থা করেছি।’
তারেক আহমেদ আরও বলেন, ‘আমরা একটি অনুরোধ পেয়েছি একটি পরিবারের কাছ থেকে যার একজন সদস্য এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন। ওই পরিবারটি তাদের সদস্যের মৃতদেহটি বাংলাদেশে নিয়ে যেতে চায়। এর জন্য প্রয়োজনীয় যা যা করা দরকার আমরা করবো। এছাড়াও অন্যান্য যারা রয়েছেন তাদের আর কী কী সহায়তা লাগে সেটি জানবো এবং জেনে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।’
তারেক আহমেদ বলেন, ‘আমার সঙ্গে একজন কনস্যুলার অফিসার আছেন। ওইখানে কারও যদি কনস্যুলার সহায়তার দরকার হয় সেটিও আমরা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি।’
ক্রাইস্টচার্চে ঠিক কতজন মারা গেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি এখনও পরিষ্কার না কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের জানানো হয়নি। আমরা কমিউনিটির কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য পাচ্ছি তাতে জানতে পেরেছি যারা আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন তাদের অবস্থা খুব একটা ভালো না। কাজেই এই মুহূর্তে এটি বলা সম্ভব না যে কতজন মারা গেছেন।’
শুক্রবার (১৫ মার্চ) নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে এক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ৪৯ জন ইসলাম ধর্মালম্বী নারী-পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে অন্তত তিন জন বাংলাদেশি বলে জানা গেছে। হামলায় ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে ৪১ জন এবং লিনউডের আরেকটি মসজিদে ৮ জন নিহত হন। এই উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী হামলার সময় আল নূর মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। মসজিদে ঢোকার কিছুক্ষণ আগে ওই হামলার ঘটনাটি ঘটে। ফলে অল্পের জন্য জীবন রক্ষা পান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।