বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করায় বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল

দিনাজপুর প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় খালিদ মাহমুদ চৌধুরীনৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে আমরা হৃদয়ে ধারণ করেছি বলেই বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হয়েছে বলে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন সম্মানিত হচ্ছে। যে জাতি একদিন দুর্যোগ ও খরা কবলিত দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল সেই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করার ফলে শান্তির দেশ হিসেবে পরিচিত। জঙ্গিবাদ দমনে পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।’
রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে দিনাজপুর প্রেসক্লাবের অডিটরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরুপ বকসী বাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী, সাবেক হুইপ মিজানুর রহমান মানু, সাবেক এমপি আব্দুল লতিফ, ডা. বিকে বোস। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল, একরাম তালুকদার ও শামীম রেজা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য ফাঁসির মঞ্চ এবং কবর পর্যন্ত প্রস্তুত করেছিল কিন্তু পারে নাই। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমাকে হত্যা করতে পারবে কিন্তু বাংলার স্বাধীনতাকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বাংলার মানুষের ওপর তার বিশ্বাস ছিল। এমন একজন মানুষের চেতনা বাদ দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন, সোনার বাংলা গঠন কখনও সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, ‘৭৫ পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করার চেষ্টা করেছেন। এ সময় বাংলাদেশে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে। তারা রাজনীতিকে কলুষিত করেছে, সমাজকে ধ্বংস করেছে, শিক্ষাজীবনকে বিঘ্নিত করেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থ স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে তুলে দিয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে।’
বাংলাদেশকে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যুবসমাজের হাতে মাদক ও অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। খুনিদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। যেই খুনিরা বলেছিল আমি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছি সেই খুনিদের জিয়াউর রহমান ফুলের মালা দিয়েছেন। সেই খুনিদের এরশাদ রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। খালেদা জিয়া সেই খুনিদের পার্লামেন্টে নিয়ে গেছেন, নিজামী ও মুজাহিদকে মন্ত্রী বানিয়েছেন।’