তরুণদের সব সুবিধা নিশ্চিতে সরকার আন্তরিক: কৃষিমন্ত্রী




কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক (ছবি: সংগৃহীত)কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি। এই তারুণ্যের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার শতভাগ আন্তরিক। তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বাংলাদেশ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের যাত্রায় যুক্ত করা হবে তরুণদের।
সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর খামারবাড়ির কেআইবি অডিটরিয়ামে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সমাপ্তি মূল্যায়ন প্রতিবেদন অবহিতকরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে নির্বাচনের ইশতেহারে দারিদ্র্য দূরিকরণ, খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য নানা বিষয় এবং ‘ভিশন ২০২১’ ও ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ঘোষণা করে, যার অধিকাংশ অর্জন সম্ভব হয়েছে। তেমনি ২০১০-২০১৫ পর্যন্ত ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ঘোষণা করে এর কিছু অর্জিত হয়েছে, কিছু হয়নি। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বড় অন্তরায় ছিল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বিশেষ করে ২০১৩-২০১৪ সালের রাজনীতির নামে নারকীয় অগ্নিসন্ত্রাস। অন্যথায় ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অধিকাংশ সূচক অর্জন হতো। প্রবৃদ্ধি অর্জনের মূল হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকা।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্জন অনেক বেশি। এমডিজির অধিকাংশ সূচক আমরা অর্জন করেছি। বর্তমানে বাংলাদেশের সক্ষমতা অনেক বেশি। দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিনিয়োগের যথেষ্ট অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। এ ছাড়া দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ ও ক্ষেত্র উভয়ই রয়েছে। বাংলাদেশ আগামী দুই-এক বছরের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে; বাড়বে কর্মসংস্থান, ঘটবে স্বাস্থ্য, মানসম্মত শিক্ষার প্রসার ও উন্নয়ন কর্মসংস্থান।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অর্থনীতির শিক্ষক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। অনুষ্ঠান সঞ্চলনায় ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম।