রাখাইনে জাতিসংঘকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না





unhcrরোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) চুক্তি থাকলেও রাখাইনে তাদের কোনও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএনএইচসিআরের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনার ভলকার টার্ক বলেন, ‘গত কয়েক মাসে আমরা সেখানে ঢুকতে পারছি না।’
তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন এবং সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে রোহিঙ্গা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ভলকার টার্ক বলেন, ‘২০১৮ সালের জুন মাসে মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তির পরে আমরা ৬০টি গ্রাম পরিদর্শন করতে পেরেছি। কিন্তু এখন আমাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।’ অবশ্য তিনি বলেন, ‘রাখাইনে নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকারের জন্য আমরা মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।’
রাখাইনের পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল আখ্যায়িত করে জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সেখানকার সরকারের সঙ্গে রাখাইন কমিশন রিপোর্ট বাস্তবায়নের জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।’
ভলকার টার্ক বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যখন প্রথম এখানে এসেছিল তখন তারা অত্যন্ত ভীত ছিল, কিন্তু এখন তারা একটি উৎপাদনমুখী জীবন চায়। তাদের সহায়তা করা আমাদের জন্য জরুরি যাতে করে তারা বাংলাদেশে উৎপাদনমুখী জীবনযাপন করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আজ যা-ই করবো সেটি হবে তাদের সুন্দর জীবনের জন্য একটি বিনিয়োগ। শুধু তাই নয়, এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্যও একটি বিনিয়োগ হবে।’
বর্তমানে বাংলাদেশে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতন থেকে নিজেদের জীবন বাঁচাতে তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে।
জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক এনজিও বাংলাদেশকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে নানাভাবে সহায়তা করছে।