আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এ দেশের যারা স্বাধীনতা প্রিয় এবং স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করেন, তাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল- ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানিরা যে পৈচাশিক, আমানবিক হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল, সেই দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গণহত্যার স্বীকৃতি দেওয়ার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই কাজটি করেছেন। শুধু তাই নয়, দিবসটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে কীভাবে স্বীকৃতি পাওয়ানো যায়, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলে কথা বলার ব্যাপারে জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি। আশা করি, অতিদ্রুত এটি বাস্তবায়ন করা হবে।’
যারা মুক্তিযুদ্ধ করেননি কিন্তু গণহত্যার শিকার হয়েছেন তাদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের ভাবনা কী, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা গণহত্যার শিকার হয়েছেন, তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশেষ তহবিল গঠন করেছেন এবং সাহায্য সহযোগিতা করছেন।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মদ আলী সিকদার, জগন্নাথ হলের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সদস্য মেজর ওয়াকার হাসান (বীরপ্রতীক) প্রমুখ।