প্রকল্পের কাজের অনিয়মে মৎস্য প্রতিমন্ত্রীর অসন্তোষ

১২২৩৪

মন্ত্রণালয়ের কাজের ধীরগতিসহ বিভিন্ন  প্রকল্পের কাজের অনিয়মে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মৎস্য প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। তিনি বলেন, ‘যেখানে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়নের হার ও গতি অনেক বেশি এবং তারা একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আরও বরাদ্দের জন্য চাপ দেন, সেক্ষেত্রে এই মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ ফেরত দেওয়াটা সমর্থনযোগ্য নয়।’

রবিবার (২৪ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রাণিসম্পদ উপখাতের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির মূল্যায়ন সভায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

এসময় মাঠপর্যায়ের অফিসারদের নিয়মিত অফিসে উপস্থিতিসহ গাফলতি রোধে খোঁজখবর নিতে মোবাইলের বদলে ল্যান্ডফোনে যোগাযোগের জন্য মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দেন তিনি।

এছাড়াও মন্ত্রণালয় থেকে চার মাস আগে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরসহ অন্যান্য দফতরকে ২য়, ৩য় ও চতুর্থ শ্রেণির শূন্য পদ পূরণের নির্দেশ দেয়ার পরও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।  

বিভিন্ন অধিদফতর ও সংস্থায় নবনিয়োগকৃত বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ঢাকা এবং নিজ জেলা-উপজেলা সদরের বাইরে পোস্টিং দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন মৎস্য প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। শুধু দক্ষ ও সৎ সিনিয়র কর্মকর্তাদের ঢাকার প্রধান কার্যালয়সহ বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানগুলোতে বদলির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজনের ওপর জোর দেন। এক্ষেত্রে কোনোপ্রকার তদবিরকে প্রশ্রয় না দেওয়ার জন্যও তিনি সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সভায় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের প্রায় ৩৪১ কোটি টাকার ১৬টি, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রায় ৩১ কোটি টাকার ৬টি এবং বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকার একটিসহ মোট ২৩ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতির মূল্যায়ন করা হয়।

বলা হয়, মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩টি অধিদফতর ও সংস্থার জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪৪টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে, যার জন্য বরাদ্দ আছে প্রায় ৮১৯ কোটি টাকা। এরমধ্যে এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মোট প্রায় ৩৪৮ কোটি টাকা।