আবরারের ব্যাগের সন্ধান চাইলো পরিবার

আবরার আহমেদ চৌধুরীরাজধানীর নর্দ্দায় বাসচাপায় নিহত শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীর সঙ্গে থাকা ব্যাগটি খুঁজে পায়নি তার পরিবার। ১৯ মার্চ রাস্তা পারাপার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে ওঠার সময় সুপ্রভাত বাস তাকে চাপা দেয়। এ সময় ব্যাগটি আবরারের কাঁধে ছিল।

ব্যাগের মধ্যে এ লেভেল এবং ও লেভেলের সার্টিফিকেটসহ প্রয়োজনীয় কাগজ, খাতা ও বই ছিল বলে জানিয়েছেন তার বাবা আরিফ আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ওর (আবরার) ব্যাগে অরিজিনাল কাগজপত্র ছিল। ওইদিন এয়ারফোর্সে আইএসএসবি’তে (ইন্টার সার্ভিস সিলেকশন বোর্ডে) একটি পরীক্ষার জন্য পেপারগুলো নিয়ে গিয়েছিল। ব্যাগটাতে টাকা-পয়সা কিছু ছিল না। শুধু কিছু কাগজ ছিল। এই সার্টিফিকেটগুলো কারও কোনও কাজে আসবে না। ছেলের অর্জনগুলোও হারিয়ে গেলে কষ্টটা বাড়বে। কেউ ব্যাগটির সন্ধান দিতে পারলে কৃতজ্ঞ থাকবো।’
ব্যাগ মিসিংয়ের বিষয়ে পুলিশকে জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘আমাদের এ ধরনের কিছুই ইনফর্ম করা হয়নি। এছাড়া আমাদের হেফাজতেও কোনও ব্যাগ নেই।’

পরিবারের পাশাপাশি আবরাবের ব্যাগটির সন্ধান চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিতে দেখা গেছে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীদের।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল (বিইউপি)-এর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব তার ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট দিয়ে বন্ধুর ব্যাগের সন্ধান চেয়েছেন। ব্যাগটি কারও সন্ধানে থাকলে আবরারের মামা মাসুদ (০১৮১৯-২৩১৬০৮) ও নাজমুস সাকিব (০১৬৭৯-৩২৫৩৪৯)-এর নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এছাড়া কেউ চাইলে গুলশান থানায় যোগাযোগ করে ব্যাগটি পৌঁছে দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন থানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

গত ১৯ মার্চ রাজধানীর নর্দ্দা এলাকায় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাসচাপায় নিহত হন আবরার আহমেদ চৌধুরী। সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। বাসটি ও বাসের চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। চালক বর্তমানে সাতদিনের রিমান্ডে রয়েছে।

আবরার নিহতের প্রতিবাদে এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে ১৯ মার্চ আন্দোলনে নামেন বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দুর্ঘটনার দিনই ঘটনাস্থলের পাশে একটি ফুট ওভারব্রিজ বানানোর ঘোষণা দেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম। পরদিন ফুট ওভারব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে মেয়র আতিকুলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারীরা। প্রশাসনের আশ্বাসের ভিত্তিতে আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত আন্দোলনের সব কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।