মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখোশ পরা যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আসাদুজ্জামান খান কামাল

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখোশ পরা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তবে কেউ চাইলে মুখোশ হাতে রাখতে পারবেন বলে জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশে নববর্ষের অনুষ্ঠান নিরাপদ ও আনন্দময় করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল চারুকলা, রমনা বটমূল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও রবীন্দ্র সরোবরের মতো জনসমাগমস্থলে বিশেষ নিরাপত্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা ও বিশেষ তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে।’

বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে নিরাপত্তা নিয়ে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘অনুষ্ঠানের দিন পুরো ঢাকায় চলাচলের জন্য ট্রাফিক প্ল্যান করবে ডিএমপি। মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখে মুখোশ পরা যাবে না; তবে হাতে রাখা যাবে। শোভাযাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কেউ নতুন করে এরমধ্যে ঢুকতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠানে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো যাবে না। পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বিকাল ৫টার পর কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। ৬টার মধ্যে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে হবে। অনুষ্ঠানের আগের দিন ১৩ এপ্রিল বিশেষ স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া ঢাবি ক্যাম্পাসে চলতে পারবে না।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কূটনৈতিক এলাকা বিশেষ নজরদারিতে থাকবে। রাজধানীর হাতিরঝিল, রমনা পার্ক, গুলশান লেক, ধানমন্ডি লেকের মতো জনবহুল এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল থাকবে। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি থাকবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ইভটিজিং করা যাবে না। এ বিষয়টি দেখার জন্য সাদা পোশাকে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা থাকবেন। মাদক নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফেসবুক, টুইটারের যেন কেউ অপব্যবহার করতে না পারে, সে বিষয়ে মনিটর্রিং করা হবে।’

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নাশকতার কোনও আশঙ্কা আছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোনও নাশকতার সংবাদ পাইনি। তবে যে কোনও ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দক্ষ ও তৎপর।’

বাংলা নববর্ষ (১৪ এপ্রিল) উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জরুরি বৈঠক আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের আইজি ড. জাবেদ পাটোয়ারী, র‌্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. একেএম গোলাম রাব্বানী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা।