সমাবেশে দিনটির তাৎপর্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মহান মিরাজ শরিফ প্রিয়নবীর কাছে স্বয়ং আল্লাহতায়ালার মহিমাময় প্রত্যক্ষ প্রকাশ এবং প্রিয়নবীর মাধ্যমে সমগ্র সৃষ্টির কাছে রহমতময় পরোক্ষ প্রকাশ। আল্লাহতায়ালা অসীম ক্ষমতায় মহান প্রিয়নবীকে স্থান-কালের ঊর্ধ্বে তার পরম নৈকট্যে নিয়ে সমগ্র মানবমণ্ডলীর জন্য সত্যের আলো, জীবনের কেন্দ্র এবং সর্বজ্ঞান, সর্বগুণ ও সর্বকল্যাণের উৎসরূপে প্রকাশ করেছেন। তাই এই দিনটিকে রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, 'মিরাজ শরিফ মহান প্রিয়নবীর সঙ্গে প্রত্যক্ষ সাক্ষাতের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালার স্বয়ং প্রকাশ, যা সমগ্র সৃষ্টির জন্য অসীম রহমত ও দিশার উৎস। যা শোকরিয়া না হলে নাফরমানি হবে। তবে, রমজান ও কোরবানির ঈদের মতো ঈদে আজম ও ঈদে মিরাজ হুকুমগত বিধিবদ্ধ নির্ধারিত পদ্ধতিগত ঈদ নয়। এটি ঈমানি হৃদয়ের ঈদ, ঈমানি প্রাণের ঈদ, অসীম প্রেমের ঈদ, যার সঙ্গে অন্য কোনও আমলগত বিষয়ের তুলনা চলে না। যা অন্য সবকিছুর উৎস।'
সমাবেশে বক্তব্য দেন বিশ্ব সুন্নী আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্টা, শায়খুল হাদিস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান মিয়াজী, অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মারুফ, বিশ্ব সুন্নী আন্দোলনের পক্ষ থেকে আরেফ সারতাজ, রায়হান রাহবার প্রমুখ। সমাবেশ শেষে তারা একটি র্যালি নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে পল্টন হয়ে আবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করেন।