হিরোশিমাবাসীর প্রতি ভালোবাসা দেখাতে রোহিঙ্গাদের হাজার বকের মালা

হিরোশিমায় বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে ও শান্তি কামনায় কাগজ দিয়ে তৈরি এক হাজার বকের মালা তৈরি করে শহরটির উপমেয়রকে দিয়েছে রোহিঙ্গারা। (ছবি: জাপান দূতাবাসের সৌজন্যে)

মানবতার বহিঃপ্রকাশ যে কেউ যে কোনও সময়ে দেখাতে পারে এর প্রমাণ দিয়েছে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা নির্যাতিত রোহিঙ্গারা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণে ক্ষতবিক্ষত হিরোশিমা শহর ও শহরবাসীদের প্রতি ভালোবাসা দেখাতে রঙিন কাগজের তৈরি এক হাজার বক দিয়ে মালা গেঁথে শহরটির উপমেয়রের উদ্দেশে পাঠিয়েছে তারা।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইজুমি এবং জাপানে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার প্রধান ডির্ক হেবেকার এই এক হাজার কাগজের তৈরি বকের মালা হিরোশিমার উপমেয়র শিরো তানির হাতে তুলে দেন।

জাপান দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৪৫ সালে হিরোশিমায় পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপের পরে অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছিল। সেই সময়ে ১২ বছরের এক কিশোরী সাদাকো সাসাকি বোমা বিস্ফোরিত হওয়ার পর নিহত হয়। এই দুঃখের ঘটনা রোহিঙ্গারা শুনেছিল।

জাপানের রাষ্ট্রদূতকে ওই বিজ্ঞপ্তিতে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘মিয়ানমার থেকে আসা ওই মানুষগুলোকে জোর করে কঠিন সময়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এমন অবস্থাতেও জাপানে বোমা হামলায় নিহতদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছে তারা।’