নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট স্থগিত

সদরঘাট এলাকা

ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।

আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে নৌযান শ্রমিকদের নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী পূর্ণ বেতন বাস্তবায়ন করার আশ্বাসে ধর্মঘট স্থগিত করেছেন নৌযান শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দীর্ঘ বৈঠকের পর এই ঘোষণা দেন মন্ত্রী।

বৈঠকে নৌপথে পুলিশের চাঁদাবাজি এবং নৌপথে ডাকাতি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে বলেও জানানো হয়। এছাড়া নৌযান শ্রমিকদের ১১ দফা দাবির মধ্যে অন্য দাবিগুলো সমাধানের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে লিখিতভাবে জানানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ নৌযান ফেডারেশনের মহাসচিব আশিকুল আলম চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টার পর, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের ওই বৈঠক শেষ হয়। বৈঠকের পর ভোর ছয়টা থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে।’

শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে সোমবার এমন অবস্থা ছিল সদরঘাটে

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নৌযান শ্রমিক নেতারা। শ্রম ভবনে এ বৈঠক হয়। সোমবার রাতের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও সেটা বাস্তবায়িত হয়নি। নৌযান শ্রমিক নেতাদের মধ্যে বিভেদের কারণেই এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। ফলে শ্রম প্রতিমন্ত্রী আবারও নৌযান ফেডারেশন নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ বৈঠকে শ্রম প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও চৌধুরী আশিকুল আলম, শাহ আলমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

নৌযান শ্রমিকদের ১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্ঘটনায় কর্মস্থলে কোনও শ্রমিকের মৃত্যু হলে তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সেই সঙ্গে সমুদ্রভাতা ও রাত্রিকালীন ভাতা নির্ধারণ করতে হবে।