কৃষিতে গতানুগতিক ধারা পরিহারের আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর





৩৩৩৩কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, স্বল্প সময়ে অধিক উৎপাদন হয় এমন নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করে কৃষক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে। কৃষিকে লাভজনক পর্যায়ে নিয়ে একে সম্মানজনক পেশায় পরিণত করতে হবে। তাহলে দেশের শিক্ষিত তরুণরা এ পেশায় এগিয়ে আসবে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটরিয়ামে কৃষকপর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের জাতীয় কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মীর নূরুল আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ উইংয়ের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আশ্রাফ উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুল মুঈদ। প্রকল্পের মূল কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ খায়রুল আলম প্রিন্স।
মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গতানুগতিক ধারা পরিহার করে নতুন উদ্যমে কাজ করতে হবে। প্রকল্পগুলো আমাদের লক্ষ্যমাত্রা কতটুকু পূরণ করেছে বা লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কী করণীয় তা বের করতে হবে।
ডাল, তেল ও মসলার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে সবাইকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মোট তেল আমদানি করতে হয় প্রায় ৩০-৩৫ হাজার কোটি টাকার, আর শুধু ১৩-১৪ হাজার কোটি টাকার খাবার তেল আমদানি করতে হয়। ফলে বিপুল অঙ্কের টাকা এ খাতে ব্যয় হচ্ছে। আমদানি নির্ভরতা কমাতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের পাশাপাশি তেল বীজ আবাদের এলাকা বৃদ্ধি করতে হবে। আগামী পাঁচ বা ১০ বছরে ভোজ্যতেল আমদানি কী পরিমাণ কমাতে চাই এবং এর জন্য কী পরিমাণ এলাকা আবাদের আওতায় আনতে হবে, তা একটি সুনিদিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সামনের দিকে আগাতে হবে।