ব্যর্থ ঠিকাদারদের কালো তালিকাভুক্তির নির্দেশ মৎস্য প্রতিমন্ত্রীর

৩৪৫

কাজের নিম্নমান, টেন্ডারের শর্ত মেনে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার ব্যর্থতা, বর্ধিত সময়েও ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ আদায় করতে না পারা এবং প্রকল্পের কাজে অস্বচ্ছতার ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। এছাড়াও চুক্তি মোতাবেক শতভাগ কাজ আদায়ের স্বার্থে অগ্রিম বিল দেওয়া বন্ধ করা এবং তিন বার ঠিক সময়ে কাজ শেষ করতে ব্যর্থতার দায়ে ঠিকারদারদের কালো তালিকাভুক্তির শর্ত যুক্ত করতে প্রকল্প পরিচালকদের নির্দেশ দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য উপখাতের ২২টি চলমান প্রকল্পের জুলাই-মার্চ মাস পর্যন্ত ৯ মাসের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী।

দুর্বল ও গৎবাঁধা চুক্তির কারণে প্রায়ই লিজ দেওয়া সরকারি সম্পত্তি বেহাত হয়ে যায় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তা আর হতে দেওয়া যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য মন্ত্রণালয় যখন প্রকল্পের বাড়তি অর্থ বরাদ্দের জন্য মরিয়া হয়ে থাকে, তখন আমাদের প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত যাওয়াটা মন্ত্রণালয়ের জন্য অত্যন্ত লজ্জাকর।’

উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মৎস্য উপখাতের ২২টি প্রকল্পে বরাদ্দ ৪১৩ কোটি ৮ লাখ টাকার মধ্যে ৯ মাসে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৯৬ কোটি টাকা। বিগত অর্থবছরে ২৬টি প্রকল্পে বরাদ্দ ৪০৭ কোটি ৩ লাখ টাকার মধ্যে একই সময়ে ব্যয় হয়েছিল মোট প্রায় ১৭৮ লাখ টাকা। ২২টি প্রকল্পের মধ্যে মৎস্য অধিদফতর ১৪টি, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ৫টি, মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন ২টি ও ই-সেবাখাতে একটি প্রকল্প বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।    

মন্ত্রণালয়ের মৎস্য ও প্রানিসম্পদ উপখাতের মোট ৪৫টি প্রকল্পের জন্য চলতি অর্থবছরে সর্বমোট বরাদ্দ আছে ৭৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং উভয় খাতে এই ৯ মাসে ব্যয় হয়েছে মোট ৩৫১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এসময়ে প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি হয়েছে শতকরা প্রায় ৫৩ ভাগ। কিন্তু বিগত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সর্বমোট ৪৮টি প্রকল্পে বরাদ্দ ৮২৪ কোটি ২৫ লাখ টাকার মধ্যে একই সময়ে ব্যয় হয়েছিল ৪০০ কোটি ২৬ লাখ টাকা।