জায়ানকে খুঁজছেন বাবা

জায়ান চৌধুরী

শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলায় শিশু জায়ান চৌধুরী নিহত হওয়ার খবর এখনও জানেন না তার মুমূর্ষু বাবা। তাকে এখনও জানতে দেওয়া হয়নি ছেলের খবর। আইসিইউয়ে শায়িত অবস্থায় বারবার ছেলের কথা জানতে চাইছেন তিনি। বুধবার (২৪ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে এ তথ্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ২১ এপ্রিল শ্রীলঙ্কায় শ্রীলঙ্কায়  তিনটি হোটেল ও তিনটি গির্জায় সিরিজ বোমা হামলা এবং পরবর্তীতে আরও দুটি জায়গায় বোমা হামলা হয়। সেখানে এ পর্যন্ত ৪০ জন শিশুসহ ৩২৭ জনের মতো মানুষ মারা গেছে। আরও মৃত্যুর খবর আসছে। অনেকে আহত অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এই ঘটনায় আমাদের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল করিমের সেলিমের কন্যা সোনিয়ার বড় ছেলে জায়ান চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেছে। সোনিয়ার স্বামী মশিউল আলম চৌধুরী  আহত অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

বাবা-মায়ের সঙ্গে জায়ান

আজ বুধবার জায়ানের মরদেহ দেশে আসার পর শেষবারের মতো শিশুটিকে দেখতে বনানীতে জায়ানের নানা শেখ ফজলুল করিমের সেলিমের বনানীর বাসায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে গণভবনে ফিরে বিকালে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে যোগ দেন তিনি। জানাজা শেষে জায়ানকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত: জায়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও নাতি। শেখ সেলিম প্রধানমন্ত্রীর আপন ফুপাতো ভাই হন।

জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বের শুরুতে শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, জায়ান চৌধুরী একটি ছোট বাচ্চা। মাত্র ৮ বছর বয়স। আজকে সে আমাদের মাঝে নেই। তার বাবাও মৃত্যুশয্যায়। তাকে (মশিউল আলম চৌধুরী) এখনও জানতে দেওয়া হয়নি যে জায়ান নেই। সে বার বার খুঁজছে। তার মা বা পরিবারের অবস্থা আপনারা বুঝতেই পারেন। এই ঘটনায় যারা মারা গেছে এবং সংসদে যাদের শোক প্রস্তাব আনা হয়েছে তাদের সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

প্রসঙ্গত: সম্প্রতি সপরিবারে শ্রীলঙ্কায় ঘুরতে গিয়েছিলেন মশিউল আলম চৌধুরী। সেখানেই ২১ এপ্রিল ছেলে জায়ানকে হোটেলে খাবার খাওয়ার সময় ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে আরও অনেকের সঙ্গে বাবা-ছেলে দুজনেই গুরুতর আহত হন। সেদিনই শ্রীলঙ্কার একটি হাসপাতালে জায়ানের মৃত্যু হয়। আর মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন তার বাবা মশিউল আলম চৌধুরী।