বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক এসব তথ্য জানান।
ওই দিনের কর্মসূচি সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল হক বলেন, ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে সংবাদপত্রে আইন সহায়তা বিষয়ক ক্রোড়পত্র ও বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশিত হবে। এছাড়া রেডিও-টেলিভিশনে আইন সহায়তা সংক্রান্ত টকশো ও মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন সকাল ১০টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দিবসের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুর আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরের উন্মুক্ত মঞ্চ ও চত্বরে লিগ্যাল এইড মেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।’
এছাড়া জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির উদ্যোগে জেলা পর্যায়ে সভা, সেমিনার, রক্তদান কর্মসূচি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গত ১০ বছরে (২০০৯ সালের মার্চ থেকে ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত) জাতীয় আইনগত সংস্থার মাধ্যমে মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৯০ জনকে বিনামূল্যে আইনি সেবা দেওয়া হয়েছে। আইনগত সহায়তাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৬৬ হাজার ৪০২ জন কারাবন্দি ছিলেন বলে জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বর্তমান বিধিমালা অনুযায়ী বাৎসরিক আয় যাদের এক লাখ টাকা, তারা বিনামূল্যে সরকারের কাছ থেকে আইনগত সহায়তা পান। মানুষের আয় বেড়েছে জানিয়ে এই সেবা পেতে বাৎসরিক আয়ের সীমা বাড়ানো হবে কিনা– জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের প্রয়োজনে নিশ্চয়ই তা করা হবে। সমাজের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আইনের সংশোধন করতে হলে সংসদে যেতে হয়। এজন্য বিষয়টি বিধিমালায় রাখা হয়েছে, মন্ত্রণালয় বিধিমালা সংশোধন করতে পারবে। প্রয়োজনে নিশ্চয়ই সংশোধিত হবে।’