ফণী’র আঘাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর শুকরিয়া

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঘূর্ণিঝড় ফণী’র আঘাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ায় শুকরিয়া আদায় করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে শনিবার (৪ মে) সকালে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। যার ফলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এজন্য লন্ডন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে ফণী’র আঘাতে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে। শুক্রবার বাদ জুমা সারাদেশে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। সভায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর দুর্যোগ মোকাবিলায় গৃহীত প্রস্তুতি বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার প্রায় সাড়ে ১২ লাখ মানুষকে সাইক্লোন আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য জেলা-উপজেলা প্রশাসনসহ এসব এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলো, বিশেষ করে সিপিপি’র স্বেচ্ছাসেবকদের তৎপরতার প্রশংসা করা হয়।

এছাড়া, সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, আনসার-ভিডিপিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমেরও প্রশংসা করা হয়। সভায় বিশ্ব পরিমণ্ডলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় রোল মডেল হিসেবে খ্যাত যেকোনো দুর্যোগকালে বাংলাদেশ সরকারের সকল সংস্থার সমন্বিতভাবে কাজ করার যে কৃষ্টি তৈরি হয়েছে, তা ভবিষ্যতে আরও সুদৃঢ় করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সভায় মুখ্য সচিব প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সকলকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে জাতির যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সার্বক্ষণিকভাবে দুর্যোগ মোকাবিলা প্রস্তুতি কার্যক্রম সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করে।