পাসপোর্ট ছাড়াই পাইলটের বিদেশযাত্রা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যাখ্যা

বিমান বাংলাদেশপাসপোর্ট ছাড়াই পাইলটের কাতারে যাওয়ার ঘটনার ব্যাখা দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এ ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত সংবাদে বিভ্রান্তি হতে পারে উল্লেখ করে, বিভ্রান্তি এড়াতে শুক্রবার (৭ জুন) বিকালে বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ব্যাখা দেওয়া হয়।

ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘পাসপোর্টবিহীন বিমান পাইলটকে আটকে দিলো দোহা ইমিগ্রেশন পুলিশ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কোনও কোনও সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে—দোহা ইমিগ্রেশন পুলিশ বিমানের পাইলটকে আটক বা গ্রেফতার করেছে; যা মোটেও সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে সেখানে কোনও বিমান পাইলটকে আটক বা গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে জনমনে বিভ্রান্তি নিরসনে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়, গত ৫ জুন বিমানের ঢাকা-চট্টগ্রাম-দোহা রুটে বিজি-১২৫ ফ্লাইটের অপারেটিং ক্যাপ্টেন হিসেবে ফ্লাইট পরিচালনা করেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। দোহায় অবতরণ করার পর তিনি লক্ষ করেন, তার পাসপোর্টটি সঙ্গে নেই। এমতাবস্থায় তিনি ইমিগ্রেশনে না গিয়ে, দোহা এয়ারপোর্টের বিমান স্টেশনম্যানেজার ও ঢাকা অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে দোহা এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন চেক পয়েন্টের আগে ট্রানজিট হোটেল অরিক্সে চলে যান। পরদিন সন্ধ্যায় তার পাসপোর্ট দোহায় পাঠানো হয় এবং তিনি স্বাভাবিক নিয়মেই কোনও জটিলতা ছাড়াই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে দোহা নগরীতে বিমান ক্রুদের নির্ধারিত হোটেল ক্রাউন প্লাজায় যান। বর্তমানে তিনি ওই হোটেলেই অবস্থান করছেন। বিমান কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১০ জুন ভোরে দোহা থেকে বিজি-১২৬ ফ্লাইট অপারেট করে তিনি ঢাকায় আসবেন।

তবে, পাইলটের পাসপোর্ট ছাড়া যাওয়ার ঘটনায় কোনও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে কিনা, এ বিষয়ে কোনও তথ্য জানায়নি বিমান কর্তৃপক্ষ।