আজ রবিবার (৯ জুন) সচিবালয়ে ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী ও বিদ্যুৎ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় পিডিবি চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মো. হোসেইন উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনের আগে প্রতিমন্ত্রী কমকর্তাদের সঙ্গে ঈদের কুশল বিনিময় করেন এবং সবাইকে মিষ্টি মুখ করান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ পর্যন্ত ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়েছে। আরও ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি যোগ হবে। গত বছর আগস্ট থেকে এলএনজি আমদানি শুরু করেছি আমরা। এ গ্যাসের দাম অনেক বেশি। নিজস্ব গ্যাসেরই আমরা এখন ভর্তুকি দেই। গ্যাসের যে দাম তার থেকে অনেক কম দামে গ্রাহককে সরবরাহ করা হয়। চলতি অর্থবছরে ৫-৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে। যদি দাম সমন্বয় না করা হয় তাহলে আগামী অর্থবছরে ৭-৮ হাজার কোটি টাকা বাড়তি লাগতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্যাসের দাম সমন্বয় করা হলেও কিছু ভর্তুকি দিতেই হবে। সেক্ষেত্রে আগের অর্থবছরে যে পরিমাণ ভতুর্কি দেওয়া হয়েছিল সেই পরিমাণ দিলেই হবে।’
বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এবার বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে ২৯-৩০ হাজার কোটির টাকার বাজেট বরাদ্দ হতে পারে। এরমধ্যে বিদ্যুৎ খাতে ২৬ হাজার কোটি বরাদ্দ দেওয়া হবে। জ্বালানিতে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হতে পারে।’
আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি পুরনো গ্যাস লাইন খুলে ফেলে নতুন করে পাইপলাইন বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এজন্য ১২০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রিপেইড মিটারের মাধ্যমে গ্যাস সাশ্রয়ের কথা তিনি জানান।
তিনি বলেন, ‘চলতি বছর আরও আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। ঈদের ছুটিতে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে। এরমধ্যে ঝড়-বৃষ্টির কারণে সব জায়গায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে না পারলেও গ্রাহকদের ধৈর্য ও বিশ্বাসের কারণে বর্তমান সরকার এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া যাবে।’