কৃষক ফসলের প্রকৃত মূল্য পায় না: কৃষিমন্ত্রী

ড. আব্দুর রাজ্জাক (ফাইল ছবি)কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার শুরু থেকেই কৃষি গবেষণায় বিশেষ জোর দিয়ে এর বরাদ্দ বাড়িয়েছে। দেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন করেছেন এবং তা মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারিত হওয়ায় ফলন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বাংলাদেশ আজ খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে উপনীত হয়েছে। দেশের সব মানুষের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকার কৃষির যান্ত্রিকীকরণে ৫০-৭০ শতাংশ সহায়তা প্রদান করছে, প্রয়োজনে আরও সহায়তা বাড়ানো হবে।’

মঙ্গলবার (১১ জুন) বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাক্ষাৎ করতে আসা কয়েকজন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন ড. আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি-অনিক বুর্দনি, স্পেনের রাষ্ট্রদূত আলভারো দে সালাস, জার্মানির রাষ্ট্রদূত মাইকেল শ্লুটহাইস এবং ইউরোপীয় মিশনের কমিউনিটি ডেপুটি চিফ কনস্টান্টিনো ওযার্ডকিস উপস্থিত ছিলেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বৈঠকে রাষ্ট্রদূতরা আসন্ন এফএও (ফাও) জিআই ডিজি নির্বাচনে ফ্রান্সের প্রার্থী গেসলাইন লানেলির পক্ষে বাংলাদেশের সমর্থনের ব্যাপারে কথা বলেন। এ সময় ব্রেক্সিট নিয়েও কথা হয়। বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে, বিশেষ করে কৃষির উন্নয়নে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন তারা। ইইউ বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে সুশাসন, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব, রোহিঙ্গা সংকট, অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং উন্নয়ন সহযোগিতার মতো পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে একসঙ্গে কাজ ও সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্ক দেড় যুগের। বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের বিনিয়োগ অনুকূল ইমেজের আরও প্রসার ঘটাতে হবে। এর জন্য প্রধানত অর্থনৈতিক সংস্কার, বিশেষ করে ব্যবসায় খরচ হ্রাস করতে হবে। এছাড়া, সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বেগবান করার পরামর্শ দেন।
রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশে কৃষমিন্ত্রী বলেন, কৃষকের উৎপাদন বেশি হলেই কৃষক প্রকৃত মূল্য পায় না। তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা একান্ত অপরিহার্য। এর জন্য প্রয়োজন কৃষির প্রক্রিয়াজাত ও বাণিজ্যিকীকরণ এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে সরকার ৩ হাজার কোটি টাকার কৃষিযন্ত্র ক্রয়ের জন্য একটি প্রকল্প প্রণয়নের সিদ্বান্ত নিয়েছে। আধুনিক ও বাণিজ্যিক কৃষির ক্ষেত্রে ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তা চান মন্ত্রী।