ঘুষ নয়, তথ্য পাচারের অভিযোগে এনামুল বাছিরকে বরখাস্ত করা হয়েছে

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলেই তাকে গ্রেফতারের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে না দুদক। ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে খন্দকার এনামুল বাছিরকে বরখাস্ত করা হয়নি। তথ্য পাচারের অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’

বুধবার (১২ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে প্রবেশের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘যে কারও বিরুদ্ধেই অভিযোগ আসতে পারে. এটাই স্বাভাবিক। তার মানে এই নয় যে, সে অপরাধী। কে অপরাধী সেটা প্রমাণ হবে আদালতে। বাছিরের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে দুদক। অনুসন্ধানে প্রকৃত সত্য উৎঘাটিত হবে।’

ডিআইজি মিজানের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানের ধীর গতি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘অনুসন্ধানটি বস্তুনিষ্ঠ করতে গিয়ে দেরি হচ্ছে। দুদক দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসবে।’

দুদক ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান চালায়। গত মাসে ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমাও দেওয়া হয়। অনুসন্ধান করেন দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছির। সম্প্রতি এই পুলিশ কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, দুর্নীতির অভিযোগ থেকে বাঁচতে এনামুল বাছিরকে দু’দফায় ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন তিনি। আর ওই ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে কথোপকথনের অডিও প্রকাশ করেন তিনি। ঘুষ নেওয়া ও তথ্য ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর দুদক কর্মকর্তা বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করে দুদক। তবে কথপোকথনের অডিও রেকর্ডটি ‘ম্যানুফ্যাকচারিং’ এবং মিথ্যা দাবি করেছেন বাছির।