পুলিশ বিজিবি আনসার ও কোস্টগার্ডের যত অর্জন

চার বাহিনী

পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও কোস্টগার্ডের বেশ কিছু অর্জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে মধ্য মেয়াদি বাজেট কাঠামোতে। অর্জনগুলোর মধ্যে এসব বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানের কথাই প্রাধান্য পেয়েছে।

পুলিশের অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে, বিগত তিন বছরে পুলিশের অভিযানে ১৬ হাজার ২৩৯টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র, এক লাখ ৫ হাজার ৩৪৬ রাউন্ড গুলি, ৯৩৮ কেজি হেরোইন, এক লাখ ১৮ হাজার ৪৩৬ কেজি গাঁজা, ৬৯ হাজার ৬৫ বোতল বিদেশি মদ, আট লাখ ১২ হাজার ১৬০ বোতল ফেনসিডিল এবং ছয় কোটি ৪১ লাখ ৭০ হাজার ৩১৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের শূন্য পদে ৩৯ হাজার ২১৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে একটি মহিলা ইউনিটসহ পাঁচটি ইউনিট নিয়োজিত করা হয়েছে। গত তিন বছরে ১৭টি দেশে দুই হাজার ৭৬১ জন পুলিশ সদস্য শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করেছে।

বিজিবি’র অর্জনগুলোর ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, বিজিবিকে আধুনিক ও বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা এবং এ বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নুতন রিজিয়ন, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন, বিওপি, এয়ার উইং সৃষ্টি এবং আধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি কেনা হয়েছে। অত্যাধুনিক বর্ডার সার্ভিলেন্স অ্যান্ড রেসপন্স সিস্টেম স্থাপন, ফাইবার কানেকটিভিটির মাধ্যমে ডিজিটাল ডাটা নেটওয়ার্ক থেকে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কে (ভিপিএন) উন্নীত করা হয়েছে। সীমান্তরক্ষী ও নিয়মিত চোরাচালান প্রতিরোধ টহলের পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ১৩ হাজার ৫৯ প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছিল। এছাড়াও বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করার কথা বলা হয়েছে। সীমান্ত ব্যাংক ও বিশেষ শিশুদের জন্য দ্বিপ্ত সীমান্ত স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

আনসারের অর্জনের মধ্যে দেখানো হয়েছে, বিগত তিন বছরে দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ও বেকারত্ব দূর করতে তিন লাখ ৩৮ হাজার ২৭৬ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্যকে মৌলিক ও পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কোস্টগার্ডের অর্জনের মধ্যেও বিভিন্ন অভিযানে কী কী মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে সেসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।