শুক্রবার (১৪ জুন) বিকাল ৩টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
২০৩০ সালের মধ্যে আপনি যে ৩ কোটি মানুষকে কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন, সেখানে এখন সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রতি বছর গড়ে ৭-৮ লাখ মানুষ চাকরি পায়। যদি ১১ বছর ধরি সে হিসাবে ৮৮ লাখ মানুষ হয়, এক কোটিও হয় না। তাহলে তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থান কীভাবে সম্ভব—এ প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কর্মসংস্থানের কথা আমরা বলেছি, চাকরি দেওয়ার কথা বলিনি। ১০০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রেখেছি, শিক্ষার কথা বলেছি, প্রযুক্তি শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, ভোকেশনাল ট্রেনিং। আমরা চাই মানুষ শিক্ষিত হয়ে ট্রেনিং নিক। নিজের কাজ নিজে করার একটা সুযোগ পাক। মূলত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা এখন কিন্তু আছে। আছে বলেই ধান কাটার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। লোক পাওয়া যাচ্ছে না কেন? যদি এত বেশি বেকার থাকে তাহলে ধান কাটলে দিনে ৪০০-৫০০ টাকা পাবে। প্লাস তিন বেলা খাবার। দুই বেলা খাবে এক বেলার খাবার বাড়ি নিয়ে যাবে। তারপরও কেন লোক পাওয়া যাচ্ছে না? এটা কি একবারও বিবেচনা করেছেন। যেহেতু কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে তাই ধান কাটার লোকের অভাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কর্মসংস্থানের কথা বললেই সবার ধারণা হয়ে যায় চাকরি দেওয়ার কথা। ১৬ কোটি মানুষকে কি চাকরি দেওয়া যায়? পৃথিবীর কোনও দেশ দেয়? আর কোনও মানুষ কি একটা চাকরি নিয়ে বসে থাকে সারা জীবন। মানুষ যাতে কাজ করতে পারে সেই সুযোগটা সৃষ্টি করাই কর্মসংস্থান। আমার ১০০টি অঞ্চল তৈরি করছি বা প্রতিনিয়িত প্রজেক্টগুলো করছি। একটা প্রজেক্ট সম্পন্ন হলে কত মানুষের কাজ হবে, চাকরি হবে। তারা নিজেরা সেখানে কাজ করতে পারবেন, চাকরি হবে। কাজেই আপনার ওই অঙ্ক তো ভুল। সরকারি চাকরির হিসাব করলে তো কর্মসংস্থান হলো না। আপনাকে নিজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। যাতে নিজের কাজ নিজে করতে পারেন, পাশাপাশি অন্যের কাজেরও ব্যবস্থা হবে। সেটাই আমরা বলতে চাইছি।’
আরও পড়ুন:
দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার যুদ্ধই সোনালি যুদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী
‘যাদের মানসিকতা অসুস্থ তাদের কিছুই ভালো লাগে না’