চলতি বছরে সরকারের যেসব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ তাদের মূল বরাদ্দের থেকে বেশি খরচ করেছে তার অনুমোদন নিতেই জাতীয় সংসদে সম্পূরক বাজেট পাস হয়।
আগামী ৩০ জুন সমাপ্য অর্থবছরে কার্যাদি নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল থেকে মঞ্জুরিকৃত অর্থের অধিক অর্থ প্রদান ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব প্রদানের জন্য অর্থমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার সংসদে ‘নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) বিল-২০১৯’ উত্থাপন করেন। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস।
সম্পূরক বাজেটের ওপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও গণফোরামের সংসদ সদস্যরা ২১৭টি ছাঁটাই প্রস্তাব দেন। তবে সেগুলো কণ্ঠভোটে বাতিল হয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের ৩৪টি মঞ্জুরি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সম্পূরক বাজেটটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
ছাঁটাই প্রস্তাবগুলোর মধ্যে চারটি মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা হওয়া মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হলো- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার বিভাগ ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
সম্পূরক আর্থিক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২০১৮-১৯ অর্থবছরের মূল বাজেটে’ ৬২টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের অনুকূলে চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। সংশোধিত বাজেটে ৩৭টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের বরাদ্দ ১৫ হাজার ১৬৬ কোটি ১৮ লাখ ৫৪ হাজার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২৫টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের বরাদ্দ ৩৭ হাজার ৩৪৮ কোটি ৫ লাখ টাকা হ্রাস পেয়েছে। সার্বিকভাবে ২২ হাজার ৩২ কোটি টাকা হ্রাস পেয়ে সংশোধিত বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৪২ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা।