মিথ্যাচার করছে মিয়ানমার





প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার কালক্ষেপণ করছে। (ছবি: ফোকাস বাংলা)প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার কালক্ষেপণ করছে। এ ব্যাপারে মিথ্যাচার করে তারা বাংলাদেশকে দোষারোপ করছে।
সৌদি আরবের রিয়াদে কূটনীতিকদের এসব কথা বলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ।
বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে রিয়াদের রেডিসন হোটেলে এ বিষয়ে এক ব্রিফিংয়ে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৬০ জন রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) রিয়াদ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রদূত কূটনীতিকদের বলেন, ‘মিয়ানমার তাদের দেশের নাগরিক রোহিঙ্গাদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করেও ফিরিয়ে নিচ্ছে না। মিয়ানমার বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে চুক্তি বাস্তবায়ন দীর্ঘায়িত করছে এবং চুক্তি বাস্তবায়নে পরিষ্কারভাবে অনীহা প্রকাশ করছে।’
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ অসহযোগিতা করছে বলে মিয়ানমার অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা কোনোভাবেই সঠিক নয়।
অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ। তিনি এ ব্যাপারে কূটনৈতিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার জন্য সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গাদের সমস্যা নিয়ে ইতোমধ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ও মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনে রেজুলেশন গ্রহণ করা হয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও বিষয়টি অনেকবার আলোচিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি ওআইসির শীর্ষ সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫ দফা দাবি মেনে নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহবান জানান। এই ৫ দফার মধ্যে রোহিঙ্গাদের দ্রুত নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া এবং কফি আনান কমিশনের সুপারিশ পূর্ণ বাস্তবায়ন করা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক আবাসিক প্রতিনিধি খালেদ খলিফা। তিনি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।