মুয়াজ্জেম হোসেইন বলেন, ‘বিএসটিআই শুধু কাজ করে ফিনিশড প্রোডাক্ট নিয়ে। কৃষকরা যেখানে উৎপাদন করে সেখানে কিন্তু আমরা কাজ করতে পারি না। কৃষকদের চাষ থেকে ফাইনাল যে প্রোডাক্ট হয় সেটা নিয়ে আমরা কাজ করি। অনেকেই আমাদের বলেন, সব কিছু দেখার দায়িত্ব বিএসটিআই’র এটা সঠিক না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর আছে, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আছে, সবার কিন্তু দায়িত্ব ভাগ করে সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে। আমাদের দায়িত্ব ১৮১টি পণ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ। হয়তো বলতে পারেন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন হচ্ছে না। সেটা হতেও পারে। আমি মাত্র ৮টি বিভাগ নিয়ে কাজ করি। সারাদেশে মাত্র ৩০০-৪০০ কর্মকর্তা আছে আমাদেশে। এই সল্প সংখ্যক জনবল নিয়ে সারাদেশে কাজ করতে হয় আমাদের।’
মুয়াজ্জেম হোসেইন বলেন, ‘আমরা যখন বিদেশে কোথাও খেতে যাই নিশ্চিন্তে খাই। কিন্তু যদি দেশে কোথাও খেতে গেলে দুশ্চিন্তা কাজ করে। এটা আমাদের জাতিগত দুর্ভাগ্য। আমরা সব কিছুর মধ্যেই একটু লাভ লোকসানের হিসাব করি। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও আমরা অনেক ক্ষেত্রে কোনও সিস্টেম ডেভেলপ করতে পারিনি। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে সিস্টেমের মধ্যে আসতে পারবো।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক,ক্যাবের সেক্রেটারি হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপপরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, বাংলাদেশ সুপার মার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নিয়াজ রহিম এফবিসিসিআইয়ের সাবেক ও বর্তমানের একাধিক পরিচালক।