অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘এত এত ভালো কাজ করার পর আপনি এমন একটি ব্যবস্থা নিলেন, যেটা আমি সমর্থন করতে পারছি না। এই পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের উৎসে কর ৫ শতাংশের জায়গায় ১০ শতাংশ করলেন। এটি সমর্থন করতে পারি না। যেখানে ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছেন, নানাভাবে সুবিধা দিচ্ছেন। কালো টাকা সাদা করা এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কালো টাকা আছে, এটা কোনও রকম খোয়াড়ে ঢোকানোর জন্য কিছু ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে। এটা অস্বীকার করবো না। যেখানে শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছেন, যেখানে সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়িয়ে দিচ্ছেন, যেখানে সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি কেনার সুযোগ দিচ্ছেন; অনেক সেক্টরে সুবিধা বাড়ালেন, পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের মালিক, এরাও তো বাজারের কাস্টমার, কেন সেখানে হাত দিতে গেলেন, এটা আমি বুঝতে অক্ষম। অর্থমন্ত্রী ব্যবস্থা নেবেন। আর আমার আপিলটা প্রধানমন্ত্রীর কাছেও। এ ব্যাপারে দৃষ্টি দেবেন।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘সঞ্চয়পত্রের লোকরা তো কারও কাছে হাত পাততে পারেন না। তারা কার কাছে হাত পাতবেন। আমি একবার এই সংসদে বক্তব্য দেওয়া পর একজন আমার উদ্দেশে বলেছিলেন, তার তো সাইড ইনকাম নেই। আমার বৈধ টাকা, সেখানে গিয়ে আপনি উৎসে কর কাটবেন, এটা ঠিক না।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘২১ বছর ধরে তথাকথিত সামরিক, আধা-সামরিক সরকার দেশকে উল্টোপথে ধাবিত করেছে। জিয়াউর রহমান ও পরে সামরিক স্বৈরশাসকদের সময় যে জঞ্জালের তৈরি হয়, স্বীকার করি তা আমরা এখনও দূর করতে পারিনি। এই সামরিক স্বৈরশাসকদের দুঃশাসনে দিকশূন্য হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছিল দেশ। সেখান থেকে উদ্ধার করে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে আসার জন্য দৃঢ় মনোবল নিয়ে যাত্রা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ তার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন এই সংসদ সদস্য।