স্থানীয়রা জানিয়েছে, ঢাকা ওয়াসা সড়কটির ড্রেন পরিষ্কারের কাজ করেছে। সোমবার এই সড়কটির বেশ কয়েকটি ম্যানহোল খুলে ড্রেন পরিষ্কার করা হয়েছে। ড্রেন থেকে ময়লা উত্তোলন করে বস্তা ভরে সড়কের পাশে বাসাবাড়ি ও দোকান পাটের সামনে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এর কারণে কোথাও কোথাও গলির আয়তন কমে গেছে। এতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। পাশাপাশি দুর্গন্ধে পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে।
স্থানীয় দোকানদার জামাল উদ্দিন জানান, সোমবার ওয়াসার শ্রমিকরা ড্রেন পরিষ্কার করে ময়লাগুলো বস্তা ভরে পাশের দোকানপাট ও বাসা বাড়ির দেয়াল ঘেঁষে রেখে চলে গেছে। উৎকট গন্ধে দোকানে গ্রাহক বসতে পারে না। ওয়াসার কর্মীদের ময়লা সরিয়ে নিতে বারবার বলেছি। কিন্তু কোনও কথা শোনেননি তারা।
স্থানীয় বরিশাল হোটেলের একজন কর্মচারী বলেন, দোকানে বসতে পারি না। গন্ধে অনেক কষ্ট হয়। গ্রাহকরা দোকানে বসতে চায় না। এভাবে যদি তারা কাজ করে তাহলে তো আমাদের ব্যবসা গুটিয়ে চলে যেতে হবে।
স্থানীয় বাড়িমালিক গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘বলতে বলতে শেষ। কোনও কাজ হয় না। যে যার মতো করে কাজ শেষে ময়লা ফেলে চলে যায়। বাসা বাড়ির ময়লাও এই সড়কে পড়ে থাকে। সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরাও আসে না। ঢাকা ওয়াসার কাছে তো কথাই বলা যায় না। তাদেরকে অনেক বার বলেছি। কোনও কাজ হয়নি।’
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা সোহানা পারভীন বলেন, ঢাকা শহরবাসীর অসুস্থ হওয়ার অন্যতম কারণ সড়কের ওপর ফেলে রাখা এসব ড্রেনের ময়লা ও আবর্জনা। এসব ময়লার কারণে সন্তানদের নিয়ে আমরা চিন্তায় বাঁচি না। দেখবেন, এসব ময়লাই বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে আবারও ড্রেনে নেমে যায়। ফলে ড্রেন বন্ধ হয়ে যায়। আবারও নতুন ময়লার সঙ্গে এসব ময়লা তোলে ওয়াসা। তুলে রাস্তার ওপরে রেখেই চলে যায়। প্রতিবছর এমন ঘটনা দেখছি। ফলে ঢাকা শহরের ড্রেনগুলো না কখনও পরিষ্কার হয়, না আমরা এসব উৎপাত থেকে বাঁচতে পারি। এসব ময়লা তুলে নেওয়ার জন্য ওয়াসার ছোট আকারের ময়লার গাড়িও কখনো দেখেননি বলে জানান তিনি।
জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ওয়াসার ময়লা ওয়াসাকেই সরাতে হবে। তারা যদি ময়লা না সরায় তাহলে আমরা ডাম্পার লাগিয়ে সরিয়ে দেবো। তাদের ময়লার কারণে কোনও নাগরিককে কষ্ট করতে দেওয়া হবে না।
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন ও শাহেদ শফিক