তিউনিসিয়া থেকে তৃতীয় ধাপে দেশে ফিরলেন ২০ জন




সাগরে ভাসমান অভিবাসীরা গত ১৮ জুন তিউনিসিয়ার বন্দরে নামার অনুমতি পান তিউনিসিয়া উপকূলে উদ্ধার হওয়া ৬৪ বাংলাদেশির মধ্যে তৃতীয় ধাপে ২০ জন দেশে ফিরেছেন। বুধবার (২৬ জুন) বিকালে কাতার এয়ারওয়েজের কিউআর-৬৩৪ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তারা। বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে ২১ জুন প্রথম ধাপে দেশে ফিরে আসেন ১৭ জন। আর গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুন) দেশে ফেরেন ১৫ জন।
সূত্র জানায়, তিউনিসিয়া ফেরত এই ২০ জন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইমিগ্রেশনে অবস্থান করছেন। তাদের ঠিকানা নিশ্চিত হতে সংশ্লিষ্ট থানাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার দেশে আসা ১৫ জন এখনও ইমিগ্রেশনে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত তিন ধাপে দেশে ফিরলেন ৫৬ বাংলাদেশি। বাকি ১২ জন দেশে ফিরতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে তাদেরও ফেরত পাঠাতে তিউনেসিয়া কর্তৃপক্ষ ও আইওএম-এর সঙ্গে যোগাযোগ করছে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস।
ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম জানায়, তিউনেশিয়ায় ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ৬৪ বাংলাদেশির মধ্যে ২৬ জন মাদারীপুরের। বাকিদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৫ জন, সিলেটের ৮ জন, শরীয়তপুরের ৩ জন, মৌলভীবাজারের ৩ জন, নোয়াখালীর ২ জন, চাঁদপুরের ১ জন, সুনামগঞ্জের ১ জন, গাজীপুরের ১ জন, ঢাকার ১ জন, নরসিংদীর ১ জন, ফরিদপুরের ১ জন এবং টাঙ্গাইলের ১ জন।
প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে তিউনিসিয়ায় সাগরে একটি নৌকায় ভাসছিলেন ৭৫ জন শরণার্থী, যাদের মধ্যে ৬৪ জনই ছিলেন বাংলাদেশি। নৌকাটি তিউনিসিয়ার উপকূলে পৌঁছালেও কর্তৃপক্ষ তীরে নামার অনুমতি দেয়নি। দূতাবাসের পক্ষ থেকে নৌকায় ভাসতে থাকা সব বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। এরপর ১৮ জুন বন্দরে নামার অনুমতি পান তারা। দূতবাসের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা—আইওএম-এর সহায়তায় তাদের দেশে ফেরার ব্যবস্থা করা হয়।