মিল্কভিটার দুধ পরিপূর্ণ ও সুস্বাদু, সংসদে প্রতিমন্ত্রী



সংসদ অধিবেশন (ফাইল ফটো)অসৎ ব্যবসায়ীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেস্ট রিপোর্ট দিয়ে মিল্কভিটার দুধে আর্সেনিক ও ফরমালিন থাকার কথা বলেছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। তিনি বলেন, মিল্কভিটার দুধে ফরমালিনের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মিল্কভিটা দুধ হচ্ছে পরিপূর্ণ, উপযুক্ত ও সুস্বাদু।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট সম্পর্কে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
‘আমদানি করা গুঁড়া দুধ মানসন্মত নয়’
স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘আমাদের দেশে যে গুঁড়া দুধ আমদানি করা হয় তা পুষ্টিযুক্ত নয়। ডেনমার্ক ও ইউরোপের যেসব দুধ পরিত্যক্ত, দুধের ফ্যাট সংগ্রহের পর যা ব্যবহার হয় না তা বাল্ক মাল হিসেবে মাত্র ৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে ইমপোর্ট করে প্যাকিং করে বিক্রি করা হয়। এদেশের মানসম্মত মিল্কভিটার দুধ যাতে বিক্রি না নয় সে জন্য অপচেষ্টা চলেছিল। প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী এটা বুঝতে পেরে ওই ৫ শতাংশ ট্যাক্সের পরে আরও ৫ শতাংশ যোগ করেছেন। আমি মনে করি, এটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এই পদক্ষেপের ফলে মিল্কভিটার বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার সেটি বন্ধ হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন গত পরশু (২৫ জুন) বাংলাদেশের কিছু অসৎ ব্যবসায়ী ঢাকা ইউনিভার্সিটির একটি টেস্ট রিপোর্ট দিয়ে বলছে, মিল্কভিটাতে আর্সেনিক আছে। মিল্কভিটা দুধের মধ্যে নাকি ফরমালিন আছে। এটি সর্বৈব মিথ্যা কথা।’
স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে (গতকাল বুধবার) বিএসটিআই থেকে রিপোর্ট দেখেছি, সেখানে ফরমালিনের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুরে একটি টেস্ট করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে মিল্কভিটা দুধ হচ্ছে পরিপূর্ণ, উপযুক্ত এবং সুস্বাদু দুধ। এর বিপরীতে কোনও কিছুই পাওয়া যায়নি। আমরা এ বিষয়টি আপনার মাধ্যমে, এই সংসদের মাধ্যমে জনগণকে নিশ্চিত করতে চাই: এখন পর্যন্ত যেসব দুধ আমদানি করে বাজারজাতকরণ হচ্ছে সেগুলোর চেয়ে মিল্কভিটা অনেক ক্ষেত্রে ভালো। অনেক ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য এবং পুষ্টিকর।’