রিফাত হত্যার বিচার নিশ্চিতে সরকার দায়িত্ব পালন করবে: আইনমন্ত্রী

বক্তব্য রাখছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

বরগুনায় রিফাত হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে সরকার তার দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

শুক্রবার (২৮ জুন ) সন্ধ্যায়  ঢাকায় রতনপুর পরিষদ আয়োজিত বার্ষিক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

আনিসুল হক বলেন, ‘এরইমধ্যে সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত হত্যার বিচারকাজ শুরু হয়ে গেছে। এরপর বরগুনায় যে ঘটনা ঘটেছে (রিফাত হত্যা) তার বিচার হবে, আমরা সরকারের দায়িত্ব পালন করবো। কিন্তু যে জিনিসটি আমাদের প্রায় সবাইকে আমলে নিতে হবে, তা হচ্ছে আমরা দেখছি, একটা ছেলেকে কয়েকজন সন্ত্রাসী মারছে, এটাকে ভিডিওতে ধারণ করা হচ্ছে। সেই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যাকে মারছে তাকে রক্ষা করার জন্য কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এই যদি সমাজের অবস্থা হয়ে থাকে, তাহলে কিন্তু আমাদের চিন্তিত হওয়ার কারণ আছে। আমাদের যারা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, ছোট ছোট বাচ্চারা আছে, তারা যদি এটা দেখে যে, তাদের মুরুব্বিরা এই ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না, বা সমাজ থেকে এই নিয়ে কোনও প্রতিবাদ আসছে না, তাহলে কিন্তু আমাদের ভবিষ্যৎ ভালো থাকবে না। এদেরকে কিন্তু আমরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারবো না।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা এমনি এমনি আসেনি। স্বাধীনতা আনতে গিয়ে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন। আর আড়াই লাখ মা-বোনকে তাদের সম্ভ্রম হারাতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভবিষ্যৎ ফাঁসির কাষ্ঠে নির্ধারণ করা হবে—এমন অবস্থারও তিনি  মুখোমুখি হয়েছেন। স্বাধীনতা আমাদের এমনি এমনি চলে আসেনি। আজকে আমরা এই স্বাধীনতাকে যদি স্বার্থক করতে চাই, আমাদের নিশ্চয়ই অর্থনৈতিক মুক্তি প্রয়োজন। সামাজিক ব্যবস্থা ও কাঠামো সুদূঢ় করতে হবে এবং মানুষে মানুষে বন্ধুত্বও আমাদের আরও গভীর করতে হবে। এটাই আমাদের প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য একটাই, বাংলাদেশকে সমৃদ্ধশালী উন্নত দেশ হিসেবে সারাবিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করা। আমরা চাই, ৬৮ হাজার গ্রামের প্রত্যেকটি শহর হয়ে যাক, গ্রামের মানুষের মনের উদারতা দেখে যেন সারাবিশ্ব বলে, বাংলাদেশে মানুষ আছে। সেই চেষ্টায় থাকবো। আপনারা সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন। তা কখনোই যেন বন্ধ না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। আপনাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও এই রতনপুরের ঐতিহ্যে অংশগ্রহণ করাবেন। তাহলে শুধু রতনপুর না, সারা বাংলাদেশ বদলে যাবে।’

পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী মনজুর কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী হাবিব উল্লাহ, সহ-সভাপতি ও যুব উন্নয়ন অধিদফতরের পরিচালক আবুল হাসান খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।