স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হত্যাকাণ্ড ও শিশু ধর্ষণের মতো অমানবিক ঘটনাগুলো আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়। দেশের সামাজিক শাসন ক্ষয়ে গেছে। সামাজিক মূল্যবোধ কমে গেছে। এগুলো রোধ করতে পারলে, আমরা কিছুটা ফল পাবো। যেমন, ছোটবেলায় দেখেছি, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে গ্রামে বিচার হতো। এখন আর সেটা হয় না। সামাজিক বিচারব্যবস্থা উঠে গেছে। তবে আমরা অপরাধীকে ধরে এনে আইনের হাতে তুলে দিচ্ছি; এটাই আমাদের প্রধান কাজ। এক্ষেত্রে আপনাদেরও (সাংবাদিকদের) ভূমিকা আছে। সংবাদমাধ্যম অনেক শক্তিশালী, সংবাদিকরা যদি লেখনীতে এগুলো তুলে আনেন, তবে আমরা সামাজিক অবক্ষয় থেকে মুক্তি পাবো।’
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘সমাজের শুরু থেকেই অনাচার ছিল। শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র পৃথিবীতেই এটা হচ্ছে। এর জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
অপরাধীদের বিচার বিলম্বের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘মামলাজটের কারণে বিচার বিলম্বিত হচ্ছে।’
দুর্বল চার্জশিটের কারণে অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে, এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চার্জশিট যাতে নির্ভুল হয়, সেজন্য পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পিবিআই, সিআইডি গঠন করা হয়েছে।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ডিআইজি মোজ্জাম্মেল হকের ঘটনা আমি শুনেছি। তার সম্পর্কে অভিযোগগুলো আমাদের কানে এসেছে। বিষয়গুলো নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে আপনারা সঠিক বিচার দেখতে পাবেন।’