সমালোচনা শোনার মানসিকতা আমরা পোষণ করি : তথ্যমন্ত্রী



বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদদায়িত্বে থাকলে সমালোচনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘সেই সমালোচনা শোনার মানসিকতা থাকতে হয়। আমরা সেই মানসিকতা পোষণ করি।’বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকালে রাজধানীর বারিধারায় ইউএসএইড, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল, নারীর জয়ে সবার জয় এবং ইউকেএইড আয়োজিত ইয়াং লিডার ফেলোশিপ প্রোগ্রামের প্রশিক্ষণ-পরবর্তী সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আলোচনা, যুক্তি তর্ক, সমালোচনা হচ্ছে গণতান্ত্রিক রীতি-নীতিচর্চার মূল ভিত্তি। এর মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, গণতান্ত্রিক চিন্তা চেতনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়। আমরা সেভাবেই সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি লালন করেন। সেই কারণে সংসদে বিরোধী দলের সদস্য কম হলেও তারা যে সমালোচনা করেন, তার বেশিরভাগই গ্রহণ করা হয়। আজকে সংসদে আমি যে বিল উপস্থাপন করতে যাচ্ছি, সেই বিলে বিরোধী দলের বেশ কিছু পয়েন্ট গ্রহণ করেছি।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি মনে করি এই ট্রেনিং যারা পেয়েছেন, তারা আমাদের দলের এবং অন্যান্য দলের কর্মীদের তুলনায় ভিন্ন মাত্রায় উন্নীত হয়েছেন। এটি হচ্ছে যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাদের পাওনা। আমরা যখন রাজনৈতিককর্মী হিসেবে ১৯৭৭ সালে শুরু করি, তখন এই ধরনের প্রশিক্ষণের সুযোগ ছিল না । আজকে আমার ভালো লাগছে যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির তৃণমূলের কর্মীরা একসঙ্গে বসে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, নিজেদের কুশল বিনিময় করছেন। গণতান্ত্রিক চর্চাটি এমনই হওয়া উচিত। গণতন্ত্রে বিতর্ক থাকবে, দায়িত্বে থাকলে সমালোচনা হবে। সেই সমালোচনার মধ্য দিয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হয়। তাই বলে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক থাকবে না তা হতে পারে না এবং উচিত না।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আশরাফ উদ দৌলা, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (ডিআইবি) পার্টির প্রধান কাটি ক্রোয়াকি প্রমুখ।